ভারতরত্ন সংঘের সম্পাদক খুন মামলায় গুয়াহাটিতে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত রাজু বর্মণকে আগরতলায় নিয়ে এসেছে পুলিশ

আগরতলা : রাজধানী আগরতলা শহরের কাছে ঊষাবাজারে অবস্থিত ভারতরত্ন সংঘের সম্পাদক দুর্গাপ্রসন্ন দেব ওরফে ভিকি হত্যা মামলায় মূল অভিযুক্ত রাজু বর্মণকে গুয়াহাটি থেকে আগরতলায় নিয়ে আসা হয়েছে৷ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের বিমানে আগরতলায় আনা হয়েছে তাকে৷ এদিকে, রাজু বর্মণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঊষাবাজার এলাকার অসংখ্য জনতা এমবিবি বিমানবন্দরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন৷ কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুলিশ বিমানবন্দর থেকে রাজুকে থানায় নিয়ে গিয়েছে৷

রাজু বর্মণকে অসম পুলিশ গতকাল বুধবার ভোররাতে গুয়াহাটির পার্শ্ববর্তী কামরূপ গ্রামীণ জেলার বকো এলাকার এক গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছিল৷ তাকে গ্রেফতারের পর আগরতলা থেকে জনৈক পদস্থ পুলিশ আধিকারিকের এক দল গুয়াহাটি গিয়ে তাক ট্র্যানজিট রিমান্ডে আজ আগরতলায় নিয়ে আসা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঊষাবাজারে অবস্থিত ভারতরত্ন সংঘের সম্পাদক দুর্গাপ্রসন্ন দেব ওরফে ভিকিকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল আততায়ীরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শালবাগান এলাকায় সন্ধ্যারাতে গুলি চালিয়ে খুন করেছিল৷ মৃতদেহ ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করে আততায়ীরা৷ ওই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রাজু বর্মণ৷ এছাড়া আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রয়েছে ভিকিকে খুনের অভিযোগ৷

ইতিমধ্যে পুলিশ তদন্তে নেমে প্রদ্যোৎ ধরচৌধুরী এবং সুস্মিতা সরকার সহ কয়েকজনকে আটক করেছে৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল অভিযুক্ত রাজু বর্মণ বহিঃরাজ্যে অবস্থান করছে বলে তথ্য পেয়েছিল ত্রিপুরা পুলিশ৷ প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ত্রিপুরা পুলিশ অসম পুলিশের সাহায্য চায়। অবশেষে বুধবার অসমের কামরূপ গ্রামীণ জেলার বকোর এক গ্রাম থেকে অসম পুলিশ গ্রেফতার করে রাজু বর্মনকে৷
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় ছিলেন রাজধানীর জনগণ। এদিকে, ভারতরত্ন সংঘের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজকর্মের সাথে যুক্ত থাকারও অভিযোগ রয়েছে৷ বিশেষ করে সিপিডব্লিওডি-এর কাজে নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের বিষয়টিও ওঠে এসেছে৷ তাছাড়া আরও অনেক অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্লুপ্রিন্ট এই ভারতরত্ন সংঘ থেকে করা হয় বলে উঠছে বিস্তর অভিযোগ৷ ইতিমধ্যে পুলিশ তদন্ত শুরু করে অভিযোগগুলির সত্যতা পেয়েছে বলে জানা গেছে৷ তাছাড়া পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসকের তরফ থেকে সম্প্রতি এই ভারতরত্ন সংঘের পাকা বাড়ি ভেঙে ফেলার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে৷

জেলাশাসক জানিয়েছেন, ভারতরত্ন সংঘের পাকা বাড়ি খাস জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে৷ পুলিশি তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই নোটিশ জারি করা হয়েছে৷ সাতদিনের সময় দেওয়া হয়েছে। তার পর ভারতরত্ন সংঘের পাকা বাড়ি ভেঙে ফেলবে প্রশাসন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 2 =