জয়পুর: আর কিছুদিন পরই শুরু হচ্ছে আইপিএল। আর তার আগেই আইপিএল হারাল তার প্রথম চ্যাম্পিয়ন ক্যাপ্টেনকে। ২০০৮ সাল। বিশ্ব ক্রিকেটে হইচই পরে গেল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে। গোটা বিশ্বের তারকা ক্রিকেটাররা এক জায়গায়। মার্কি ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন পেলেন রাজস্থান রয়্যালসের দায়িত্ব। ওয়ার্নকে নিয়ে উন্মাদনা থাকলেও তাঁর রাজস্থানকে কেউ তেমন পাত্তা দিতে চাননি। টুর্নামেন্ট শেষ যখন ট্রফি হাতে মাঠ ছাড়লেন ওয়ার্ন ও তাঁর দল, তখন অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞকেই বলতে হয়েছে, একজন যোগ্য অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়া দলটাকে নেতৃত্বে দেওয়া থেকে বঞ্চিত থেকে গেলেন। কয়েক জন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও ইউসুফ পাঠান, রবীন্দ্র জাদেজাদের মত একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারকে নিয়ে প্রথম আইপিএলের খেতাব জেতা অধিনায়ক ওয়ার্নের ইউএসপি ছিল ডিসিপ্লিন। শুনলে অবাক লাগতেই পারে। যে মানুষটা জীবনে অনিয়ন্ত্রিত জীবন নিয়ে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি মাঠ আর ড্রেসিংরুমে ডিসিপ্লিনে বিশ্বাস করতেন? হ্যাঁ এটাই সত্যি। ওয়ার্ন চলে যাওয়ার পর যে কথা শেয়ার করছেন ওয়ার্নের সতীর্থরা।
পঙ্কজ সিং, ২০০৮ সালে প্রথম আইপিএল জয়ী দলের সদস্য ও রাজস্থান রঞ্জি দলের অধিনায়কের কথায়, “মাঠে ও ড্রেসিংরুমে ওয়ার্নের কাছে সবার প্রথমে থাকত ডিসিপ্লিন। মাঠের বাইরে অন্য ওয়ার্নকে দেখেছি আমরা। কিন্তু মাঠে ও কোনও কিছুর সঙ্গে আপস করতে রাজি ছিল না। পরিস্থিতি যেমনই হোক, ওর লক্ষ্য থাকতে ওপরের দিকে। ওয়ার্নের এই মানসিক জোড়কে সামনে রেখেই আমরা প্রথম আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। সেবার একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার আমাদের দলে। কেউ পাত্তা দিতে চায়নি রাজস্থানকে। কিন্তু ওয়ার্নের দেখানো পথে আমরাই চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠ ছেড়েছিলাম।”
“ক্রিকেটারদের থেকে কি ভাবে সেরা পারফরম্যান্সটা বের করে আনতে হয় সেটা খুব ভালো করে জানত ওয়ার্ন। মাপা পরিকল্পনা আর অত্যন্ত সজায় ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়। কিন্তু মাঠের বাইরে সব থেকে প্রাণচঞ্চল একটা মানুষ।” ওয়ার্নের স্মৃতি চারণায় মন্তব্য রাজস্থান রয়্যালসের প্রাক্তন কোচ দিশান্ত ইগায়গনিকের।”
খেলা ছাড়ার পরও, চ্যাম্পিয়ন অধিনায়কের সঙ্গে কোনও দিনই সম্পর্ক ছেদ পরেনি রাজস্থানের। কখনও কোচ কখনও শুধু মেন্টর হিসেবে পিঙ্ক আর্মির জার্সিতে দেখা গেছে ওয়ার্নিকে। কিন্তু এবার সবটাই স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে।