মাধ্যমিকে প্রথম রায়গঞ্জের অদৃত, এবার পাশের হার ৮৬.৫৬ শতাংশ

কলকাতা : প্রকাশিত হল ২০২৫-এর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফল ঘোষণা করা হয়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করেন। তাঁর সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পর্ষদ সচিব।

মাধ্যমিকে পাশের হারে শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর (৯৬.৪৬%)। তার পর যথাক্রমে কালিম্পং, কলকাতা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর রয়েছে। মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের অদৃত সরকার । তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬, শতাংশের নিরিখে ৯৯.৪৬ শতাংশ। যুগ্ম দ্বিতীয় অনুপম বিশ্বাস এবং সৌম্য পাল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। তৃতীয় হয়েছেন এক জন। গত বারের তুলনায় পাশের হার সামান্য বেড়েছে। এ বছর মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬.৫৬ শতাংশ। গত বার ছিল ৮৬.৩১ শতাংশ। পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, এ বছর মাধ্যমে প্রথম দশে আছে ৬৬ জন। তবে প্রথম হয়েছে এক জনই। প্রথম হয়েছে রায়গঞ্জের অদৃত সরকার। সে পেয়েছে ৬৯৬। এ বছর মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থানে আছে দু’জন। মালদার রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের অনুভব বিশ্বাস (৬৯৪) এবং বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের সৌম্য পাল (৬৯৪)। উল্লেখ্য, চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয় ১০ ফেব্রুয়ারি, শেষ হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। মোট ৬৯ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করা হল। এ বারের পরীক্ষা ২,৬৮৩ কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল। ৪২৩ জন কাস্টোডিয়ান প্রশ্নপত্রের দায়িত্বে ছিলেন।

প্রথম স্থান:

উত্তর দিনাজপুরের অদৃত সরকার । তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬, শতাংশের নিরিখে ৯৯.৪৬ শতাংশ । রায়গঞ্জ করনেশন উচ্চ বিদ্যালয়।

দ্বিতীয় স্থান:

১) অনুভব বিশ্বাস। রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির, মালদা। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪।

২) সৌম্য পাল। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাইস্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪।

তৃতীয় স্থান:

১) ঈশানী চক্রবর্তী। বাঁকুড়ার কোতুলপুর সরোজ বাসিনী বালিকা বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪।

চতুর্থ স্থান:

১) মহঃ সেলিম। নিরোল উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২।

২) সুপ্রতীক মান্না। কন্টাই মডেল ইনস্টিটিউট। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২।

পঞ্চম স্থান:

১) সিনচান নন্দী। গৌরহাটি হরদাস ইনস্টিটিউট। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১।

২) চৌধুরী মহঃ আসিফ। কামারপুকুর আর.কে.মিশন মাল্টিপারপাস স্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১।

৩) দীপ্তজিৎ ঘোষ। ইটাচুনা শ্রী নারায়ণ ইনস্টিটিউশন। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১।

৪) সোমতীর্থ করণ। নরেন্দ্রপুর আর কে মিশন বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১।

ষষ্ঠ স্থান:

১) অউন্চ‌ দে। ফালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০।

২) জ্যোতি প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০।

৩) রুদ্রানিল মাসান্তা। গোরাসোলে মুরালিধর হাই স্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০।

৪) অঙ্কন মণ্ডল। টাকি রামকৃষ্ণ মিশন হাই স্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০।

৫) অভ্রদীপ মন্ডল। সারদা বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০।

সপ্তম স্থান:

১) দেবার্ঘ্য দাস। ফালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯।

২) অঙ্কন বসাক। গঙ্গারামপুর উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯।

৩) আরিত্রা দে। বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯।

৪) দেবাদ্রিতা চক্রবর্তী। বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯।

৫) সোরিন রায়। অমরগড় উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯।

অষ্টম স্থান:

১) অনির্বাণ দেবনাথ। তুফানগঞ্জ নৃপেন্দ্র নারায়ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।

২) সত্যম সাহা। রায়গঞ্জের সারদা বিদ্যামন্দির। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।

৩) আসিফ মেহবুব। জয়েনপুর উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।

৪) মোঃ ইনজামাম উল হক। টার্গেট পয়েন্ট (আর) স্কুল উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।

৫) মোঃ ইনজামাম উল হক। রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।

৬) অরিত্র সাহা। রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।

৭) সুভ্রা সিংহমহাপাত্র। বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।

৮) অরিজিৎ মণ্ডল। রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।

৯) স্পন্দন মৌলিক। রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 2 =