টানা ছয় ম্যাচে জয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। প্লে-অফ কোনও দলেরই নিশ্চিত নয়। তবে বিশাল জয়ে পয়েন্ট তালিকায় আরসিবিকে সরিয়ে শীর্ষস্থান দখল করল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দু-দল ১৪ পয়েন্টে থাকলেও নেট রান রেটে অনেক অনেক এগিয়ে হার্দিক পান্ডিয়ারা। প্লে-অফের দৌড়ে এক পা ফেলে রাখল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, এমনটা বলাই যায়। জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসকে ১০০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পাশাপাশি প্লে-অফের দৌড় থেকে সরকারিভাবে ছিটকে দিল রাজস্থান রয়্যালসকে। একদিন আগেই প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। দ্বিতীয় দল হিসেবে চেন্নাইয়ের তালিকায় রাজস্থান রয়্যালস।
এদিন ছিল রাজস্থানের পিঙ্ক প্রমিস ম্যাচ। আগের দিনের মতোই টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান রয়্যালস ক্যাপ্টেন রিয়ান পরাগ। মুম্বইয়ের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও রায়ান রিকলটন শুরুটা খুবই সতর্ক করেছিলেন। পাওয়ার প্লে-র প্রথম তিন ওভার কাটতেই হাত খুলতে শুরু করেন। রোহিত এই নিয়ে চার ইনিংসের মধ্যে তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি প্লাস ইনিংস। রায়ান করেন ৬১ রান। এরপর সূর্যকুমার যাদব ও ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়ার বিধ্বংসী ব্যাটিং। দু-জনেই ২৩ বলে ৪৮ রান করে অবদান রাখেন। রাজস্থানকে ২১৮ রানের বিশাল টার্গেট দেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
রাজস্থানের টপ অর্ডার শক্তিশালী। তবে টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে তারা যে ভেঙে পড়ে, এ মরসুমে অনেক উদাহরণ পাওয়া গিয়েছে। এ দিনও সেটাই হয়। স্কোরবোর্ড প্রেশার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বৈভবকে ফেরান দীপক চাহার। পরের ওভারে ট্রেন্ট বোল্ট ক্লিন বোল্ড করেন যশস্বীকে। পাওয়ার প্লে-তেই ৫ উইকেট তুলে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল না। রাজস্থানকে দ্রুত অলআউট করে নেট রান রেট বাড়িয়ে নেওয়াই টার্গেট ছিল মুম্বইয়ের। সেই লক্ষ্যে সফল। রাজস্থানের হয়ে সর্বাধিক স্কোর পেসার জোফ্রা আর্চারের ৩০। বোল্ট ও ইমপ্যাক্ট হিসেবে নামা করণ শর্মা ৩টি করে উইকেট নেন। বুমরার ঝুলিতে দুটি উইকেট। দীপক ও হার্দিক একটি করে উইকেট নেন। ১৬.১ ওভারে ১১৭ রানেই অলআউট রাজস্থান।