ইউক্রেনে সামরিক অভিযান নিয়ে কূটনৈতিকভাবে রাশিয়ার (Russia) পাশে দাঁড়িয়েছে চিন (China)। রাষ্ট্রসঙ্ঘে (United Nations) রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা নিন্দাপ্রস্তাব সমর্থন করেনি শি জিনপিং সরকার। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠল, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাশিয়া সামরিক এবং অর্থনৈতিক সাহায্য চেয়েছে চিনের কাছে।
আমেরিকার একাধিক সংবাদমাধ্যম রবিবার দাবি করেছিল, ইতিমধ্যেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) সামরিক সাহায্যের বিষয়ে কথা বলেছেন বেজিংয়ের সঙ্গে। সোমবার সকালে একই দাবি করেন, আমেরিকার বিদেশ দপ্তরের এক আধিকারিক। কিন্তু এই দাবি চিন সোমবার খারিজ করেছে। চিনা বিদেশ দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমেরিকা দাবি করেছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে রাশিয়া আমাদের কাছে সামরিক সরঞ্জাম চেয়েছে। আমেরিকার এমন দাবি বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীন।’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, চিনের বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষপ্রসূত বিভ্রান্তি’ ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। রাশিয়ার তরফেও চিনা সাহায্য চাওয়ার দাবি খারিজ করা হয়েছে।
পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কিভ-ক্রেমলিনের মধ্যে চতুর্থ দফার বেঠক শুরু হতে চলেছে বলে ইউক্রেন সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে তিনি এও জানান যে, বেঠক হতে চলেছে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই। এর আগেও তিন দফার বেঠক হলেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি।
এ ছাড়াও ইউক্রেনের অভিযোগ, মস্কো বাহিনী ইউক্রেন থেকে একাধিক পশ্চিমী সম্পত্তি ধ্বংস করার এবং বড় বড় সংস্থার মালিকদের বন্দি করার হুমকি দিয়েছিল। তবে রুশ দূতাবাসের তরফ থেকে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।