নিজেদের শেষ ম্যাচটায় হেরে কিছুটা চাপে ছিল পঞ্জাব কিংস। তার উপর যুজবেন্দ্র চাহালের চোট। পয়েন্ট টেবলে শীর্ষ দুইয়ে থাকা হবে কি না, তা নির্ভর করত আজকের ম্যাচের উপর। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছেও দুর্দান্ত সুযোগ ছিল টপ টু ফিনিশের। ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করছিল মুম্বই। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও জেতা হল না। মুম্বইকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টপ টু ফিনিশ নিশ্চিত করল পঞ্জাব কিংস। অন্যদিকে, চতুর্থ স্থানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলবে পঞ্জাব। এলিমিনেটর ম্যাচ খেলতে হবে মুম্বইকে।
জয়পুরে পঞ্জাব কিংস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কার্যত টপ টু-তে ফিনিশ করার নকআউট ম্যাচ ছিল। মুম্বই এই ম্যাচ জিতলে তাদের ১৮ পয়েন্ট হত। মুম্বইয়ের পাশাপাশি গুজরাট টাইটান্সও টপ টু-তে থাকত। পঞ্জাব জেতায় তারা টপ টু নিশ্চিত করল। এ দিন টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন পঞ্জাব কিংস ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার। মুম্বইয়ের ব্যাটিং প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে ব্যর্থ। দুই ওপেনার রায়ান রিকলটন ও রোহিত শর্মা শুরুটা দুর্দান্ত করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। সূর্যকুমার যাদবের ৩৯ বলে ৫৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। শেষ দিকে হার্দিক, নমন ধির ক্যামিও ইনিংস খেলেন। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৪ করে মুম্বই।
পঞ্জাব কিংসের ব্যাটিং আক্রমণ যতই শক্তিশালী হোক ১৮৫ রানের টার্গেট একেবারে সহজ বলা যায় না। তার কারণ, মুম্বই বোলিংয়ে জসপ্রীত বুমরা, ট্রেন্ট বোল্ট, দীপক চাহার, মিচেল স্যান্টনারের মতো বোলার রয়েছেন। পাওয়ার প্লে-তে ছন্দে থাকা প্রভসিমরনকে ফেরান বুমরা। কিন্তু তরুণ ওপেনার প্রিয়াংশ আর্যর সঙ্গে জশ ইংলিশের সেঞ্চুরি প্লাস পার্টনারশিপ। প্রিয়াংশ ৩৫ বলে ৬২ করেন। জয়ের দোরগোড়ায় আউট হন ইংলিশ। ৪২ বলে ৭৩ করেন তিনি। ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার আর কোনও ভাঙনের সুযোগ দেননি। শেষ অবধি ৯ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় পঞ্জাবের।