সেই ১৯৯৮ সাল। আইসিসি নকআউট ট্রফি জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে চার বার সেমিফাইনালে আটকে গিয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেছে। কিন্তু ট্রফির স্বাদ পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম বার ফাইনালে উঠেছে প্রোটিয়ারা। আর প্রথম সুযোগেই কাপ আর ঠোঁটের দূরত্বে দাঁড়িয়ে। লর্ডসে ইতিহাস গড়তে দক্ষিণ আফ্রিকার চাই আর ৬৯ রান। হাতে ৮ উইকেট।
উল্টোদিকের টিমটার নাম অস্ট্রেলিয়া। সে কারণেই যতক্ষণ না সীমানা পেরোচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে উচ্ছ্বাসের জায়গা নেই। লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল প্রোটিয়ারা। কাগিসো রাবাডার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ২১২ রানেই গুটিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের কাছে সুযোগ ছিল প্রথম ইনিংসে লিড নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়ার। যদিও অজি ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্সের আধডজন উইকেট। স্টার্ক, হ্যাজলউডরাও সঙ্গ দেন। মাত্র ১৩৮ রানেই অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচের প্রথম দু-দিন এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়াই। তৃতীয় দিনের শেষে বলা যায় দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়ন্ত্রণে ম্যাচ। হার-জিত তাদের হাতেই। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৭৩ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল। কিন্তু মিচেল স্টার্ক এবং জশ হ্যাজলউড জুটি তাদের দুর্দান্ত জায়গায় পৌঁছে দেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৭ রান করে অজিরা। দক্ষিণ আফ্রিকার টার্গেট দাঁড়ায় ২৮২ রান।
লর্ডসে চতুর্থ ইনিংসে ২৮২ কিংবা তার বেশি স্কোর মাত্র দু-বার তাড়া করে জেতার রেকর্ড রয়েছে। শুরুতেই রায়ান রিকলটনের উইকেট নেন স্টার্ক। মুল্ডারকেও ফেরান তিনিই। ওপেনার এইডেন মার্কব়্যামের সেঞ্চুরি, ক্যাপ্টেন তেম্বা বাভুমার হাফসেঞ্চুরি। তৃতীয় দিনের শেষে ২ উইকেটে ২১৩ রান তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দু-জনই ক্রিজে রয়েছেন। চতুর্থ দিন প্রথম ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারলে ইতিহাসের খুব কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা।