বোকাখাত (অসম) : পুলিশের এনকাউন্টারে আহত হয়েছে বোকাখাতে সিআরপিএফ ক্যাম্পে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত দুই অভিযুক্ত ভবেশ কলিতা এবং সঞ্জীব বরুয়া।
ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে গত ২৪ জুন রাত প্রায় ৮:২০টায় গোলাঘাট জেলার অন্তর্গত বোকাখাতের সাপজুরি পানবাড়ি কৃষিখামার সংলগ্ন সিআরপিএফ ক্যাম্পে সংগঠিত গ্ৰেনেড হামলার মূল অভিযুক্ত অঙ্কুর দাস এবং রূপজ্যোতি দাস। ওইদিনের গ্ৰেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল ভবেশ কলিতা এবং সঞ্জীব বরুয়া৷ তারাই অঙ্কুর এবং রূপজ্যোতিকে গ্ৰেনেড যোগান ধরেছিল।
প্রসঙ্গত, সিআরপিএফ ক্যাম্পের জওয়ানদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে মণিপুরে। তাই সিআরপিএফ ক্যাম্প এখন আসাম পুলিশ ব্যবহার করছে। সেদিনের গ্ৰেনেড হামলায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন আসাম পুলিশের তিন জওয়ান।
পুলিশের জনৈক আধিকারিক এ তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন, পানবাড়ি কৃষিখামারের কাছে ভবেশ কলিতা এবং সঞ্জীব বরুয়া লুকিয়ে রেখেছিল দুটি পিস্তল৷ গত ২৬ জুন রাতে তেজপুর এবং লখিমপুর থেকে এই দুই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্ৰেফতার করেছিল। গ্রেফতারের পর পুলিশের জেরায় তারা স্বীকার করেছিল পিস্তল দুটি লুকিয়ে রাখার কথা৷ সে অনুযায়ী গতকাল রাতে ভবেশ এবং সঞ্জীবকে নিয়ে লুকিয়ে রাখা পিস্তলের সন্ধানে পানবাড়ি কৃষিখামারের কাছে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে লুকিয়ে রাখা পিস্তল দুটি হাতে নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে তারা৷ তখন পুলিশ হামলা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে এবং তাদের ধরতে পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়। ভবেশ কলিতার বাঁ এবং সঞ্জীব বরুয়া ডান পায়ে গুলি বিদ্ধ হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ দুই অভিযুক্তকে প্রথমে বোকাখাত শহিদ কমলা মিরি মহকুমা অসামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নিয়ে যাওয়া হয়েছে যোরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
উল্লেখ্য, গ্ৰেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গ্রেনেড হামলা এবং এর সাথে সম্পর্কিত অস্ত্র নেটওয়ার্কের তদন্ত চলছে।