প্লে-অফে একটি জায়গার দৌড়ে মুম্বই বনাম দিল্লি

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয় বার লিগ পর্বেই ছিটকে গেল লখনউ সুপার জায়ান্টস। এ মরসুমে দুর্দান্ত টিম গড়েছিল তারা। মেগা অকশনে রেকর্ডও গড়েছিল। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি প্লেয়ার হয়ে ওঠেন ঋষভ পন্থ। তাঁকে ২৭ কোটিতে নিয়েছিল লখনউ। টিমে মিচেল মার্শ, এইডেন মার্কব়্যাম, নিকোলাস পুরানের মতো বিধ্বংসী ব্যাটার। কিন্তু বোলিংয়ে শুরু থেকেই সমস্যা ছিল লখনউয়ের। সৌজন্যে একঝাঁক পেসারের চোট। তার উপর ব্যাটিংয়ে ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থের হতাশা জনক পারফরম্যান্স তো রয়েইছে। সব মিলিয়ে এ বারের মরসুমের মতো প্লে-অফের দৌড় থেকে বাইরে লখনউ।

আশা জিইয়ে রাখতে ঘরে মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জিততেই হত লখনউকে। সানরাইজার্স আগেই ছিটকে গিয়েছিল। তাদের হারানোর কিছু নেই। বরং, বাকি ম্যাচগুলো মর্যাদার লড়াই তাদের কাছে। লখনউয়ের মাঠে ৬ উইকেটের বিশাল জয়। এর সঙ্গে লখনউয়ের বিদায়। টস জিতে লখনউকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সানরাইজার্স। শুরুটা দুর্দান্ত। ওপেনিং জুটিতেই ১১৫ রান যোগ করেন মার্শ-মার্কব়্যাম। মিডল অর্ডার ফের ভরসা দিতে ব্যর্থ। ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থ তিনে নামেন। ৬ বলে ৭ রানেই ফেরেন তিনি। নিকোলাস পুরান ২৬ বলে ৪৫ রান করেন। এরপর শুধুই এক অঙ্কের রান। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২০৫ রান করে লখনউ। আরও অন্তত ৩০ রান যোগ করার মতো জায়গায় ছিল একটা সময়।

বোর্ডে বড় টার্গেট থাকলেও খোলা মনে খেলার সুযোগ ছিল সানরাইজার্সের। তরুণ ওপেনার অথর্ব তাইডেকে সুযোগ দেয় তারা। ৯ বলে ১৩ রানে ফেরেন। তবে অভিষেক শর্মা ও ঈশান কিষাণ জুটিতে পরিস্থিতি সামাল দেয় সানরাইজার্স। অভিষেক মাত্র ২০ বলে ৫৯ রান করেন। মিডল অর্ডারে হেনরিখ ক্লাসেন ২৮ বলে ৪৭। কামিন্দু মেন্ডিস ২১ বলে ৩২ করে চোটের কারণে মাঠ ছাড়েন। শেষ অবধি ১০ বল বাকি থাকতেই টার্গেট পূরণ সানরাইজার্সের।

লখনউ সুপার জায়ান্টসের আর দুটি ম্যাচ বাকি। ফলে সর্বাধিক ১৪ পয়েন্টে পৌঁছতে পারবে তারা। প্লে-অফের দৌড়ে বাকি রইল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস। মুম্বইয়েরও ১৪ পয়েন্ট রয়েছে। যদিও নেট রান রেটে অনেক অনেক এগিয়ে তারা। পরের ম্যাচে মুখোমুখি হবে মুম্বই ও দিল্লি। মুম্বই জিতলে প্লে-অফ সেখানেই নিশ্চিত। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিদায় হয়ে যাবে। কিন্তু দিল্লি যদি মুম্বইকে হারিয়ে দেয়, জমে উঠবে প্লে-অফ। দিল্লি রয়েছে ১৩ পয়েন্টে। মুম্বই ও পঞ্জাবকে হারালে তারা ১৫ পয়েন্টে পৌঁছতে পারবে। সুতরাং, মুম্বইকে হারালেও তাদের অপেক্ষা করতে হবে। পঞ্জাবও যদি মুম্বইকে হারায় তবেই প্লে-অফে যেতে পারবে দিল্লি। কিন্তু মুম্বই যদি দিল্লিকে হারায় ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 3 =