আইএসএলে জয়ের ধারা বজায় রাখল মোহনবাগান

এক মাস পর আইএসএলে ফিরল মোহনবাগান। মাঝে এএফসি কাপের খেলা চলছিল। মরসুমের শুরুর থেকেই মোহনবাগানের নজর ছিল এএফসি কাপেই। শুরুটা দুর্দান্ত হলেও গত তিন ম্যাচের মধ্যে দুটি হারে সব আশা শেষ। আইএসএলে গত বারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। এএফসি কাপের আশা শেষে এখন নজর আইএসএলের খেতাব ধরে রাখা। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে নানা কারণেই ব্যাকফুটে ছিল মোহনবাগান। তবে একশো শতাংশ জয়ের রেকর্ড ধরে রাখল সবুজ মেরুন।

হায়দরাবাদ এফসির হোম ম্যাচ। আইএসএলের এই ম্যাচটি যদিও হয়েছে ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। ম্যাচের শুরু থেকে দু-দলের প্লেয়াররা শুধুই মাথায় হাত। একের পর এক সুযোগ তৈরি হয়েছে, কাজে লাগাতে পারছিল না কোনও দলই। হায়দরাবাদের তুলনায় অনেক অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করেছে মোহনবাগান। এএফসি কাপের হতাশা। দলে একাধিক চোট। গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ারদের না পাওয়া। মোহনবাগানের খেলায় প্রভাব ফেলবে, সেই আশঙ্কাই ছিল। শুরু থেকে যেন সেটাই হচ্ছিল। বিরতিতে দু-দলই সমান সমান।

ফুটবল ম্যাচে যেন টেস্ট ক্রিকেটের পরিস্থিতি। ধৈর্য…ধৈর্য…আর ধৈর্য। অবশেষে সুফল পেল মোহনবাগান। তাও একেবারে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে। বেশ কিছু পরিবর্তন করেন হুয়ান ফেরান্দো। তরতাজা প্লেয়ার নামতেই খেলা ঘুরল। আক্রমণের ধার বাড়ে সবুজমেরুনের। ৮৫ মিনিটে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন ডিফেন্ডার ব্রেন্ডন হ্যামিল। ইনজুরি টাইমে মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোলটি করেন আশিস রাই। পিছিয়ে পড়তেই মেজাজ হারান হায়দরাবাদ এফসির ফুটবলাররা। ব্রেন্ডন হ্যামিলের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিও হয়। তবে সেসব অবশ্য সবুজ মেরুনকে আরও একটা গোল করতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে জয়। পাঁচটির মধ্যে পাঁচ জয়ে লিগ টেবলে তিনে উঠে এল মোহনবাগান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 2 =