হাওড়া : মঙ্গলবার, হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনের পুরানো কমপ্লেক্স থেকে কোটি টাকা মূল্যের সোনা, রূপা ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অপরাধে প্রদীপ কুমার মাহাতো নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে রেল পুলিশ। তার কাছ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়। ধৃত ব্যক্তি পুরুলিয়া জেলার ঝালদা ব্লকের মারু এলাকার বাসিন্দা বলে আরপিএফ সূত্রে খবর। রেলের বিশেষ ‘সতর্ক’ অপারেশনের মাধ্যমে এই বিপুল অর্থ, সোনা ও রুপা উদ্ধার করা হয়। এদিন সকাল ৭ টা নাগাদ আরপিএফের একটি বিশেষ টিম গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
ভারতীয় রেলের অপারেশন ‘সতর্ক’-এর অধীনে বিশেষ অভিযান চালানোর সময় হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনের পুরাতন কমপ্লেক্সে দুটি ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় রেল পুলিশের। এরপর তারা ব্যাগ খুলে তল্লাশি চালায়। তল্লাশিতে ব্যাগ দুটি থেকে মোট এক কোটি মূল্যের নগদ সহ সোনা, রুপা আটক করে তারা। এরপরে সেই ব্যক্তি কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে রেল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার পরিচয়ে জানায় তার নাম। উদ্ধার করা বস্তু ও নগদ টাকার বিষয়ে কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি প্রদীপ কুমার মাহাতো, পরে তাকে গ্রেফতার করে আরপিএফ। বাজেয়াপ্ত সামগ্রীর মধ্যে আনুমানিক ৮১৫ গ্রাম সোনা যার বাজার মূল্য প্রায় ৪৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫৩০ টাকা। ২ কেজি রূপা যার বাজার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৬০০ টাকা।
এছাড়াও ০.১২২ গ্রাম ওজনের একটি নেকলেস, একটি সোনার চুরি, সোনার দুটি কাফলিঙ্ক, সোনা দিয়ে তৈরি এক টাই ব্রোচের মূল্য আনুমানিক ২৬ হাজার টাকা, একটি নীলম পাথর, যার মূল্য আনুমানিক ১৫ হাজার টাকা, একটি সাদা পাথরের ছোট টুকরা, একটি হনুমান মূর্তি এবং নগদ ৫০ লক্ষ টাকা। আরপিএফ সুত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি গতকাল ঝাড়খণ্ডের মুড়ি স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠে। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি মুড়ি-র মুকেশ দুবের অধীনে কুরিয়ার স্টাফ হিসাবে কাজ করেন।
মালিক মুকেশ দুবের নির্দেশে বড়বাজার কলকাতার একজনকে নগদ সহ অলংকারগুলি তিনি পৌঁছতে এসেছিলেন। যদিও তার বক্তব্য মত বড়বাজারের প্রাপকের নাম ও ঠিকানা সম্পর্কে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। এরপরই আরপিএফ শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের খবর দেন। শুল্ক দপ্তরের সুপার বি কে সিং-এর তত্ত্বাবধানে সমস্ত অলঙ্কার এবং নগদসহ আটক ব্যক্তিকে তাদের হস্তান্তর করে আরপিএফ।