রামমন্দির উদ্বোধনের দিন কলকাতায় সম্প্রীতি মিছিলের ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, আগামী ২২ জানুয়ারি তিনি কলকাতায় সংহতি মিছিল করবেন। অর্থাৎ রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিনেই কলকাতায় সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা তুলে ধরতে সমাজের সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে সংহতি মিছিল করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেদিন দক্ষিণ কলকাতার হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত তিনি মিছিল করবেন। ছুঁয়ে যাবেন ওই এলাকার মন্দির, মসজিদ, চার্চ, গুরুদ্বারা। বিকাল ৩টের সময় হবে সেই মিছিল। পার্ক সার্কাসে মিছিল শেষে সভাও হবে। সেই মিছিলে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী এদিন সমাজের সব ধর্মের মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন। কার্যত সেই দিন থেকেই যে মমতা ২৪-এর ভোটের দামামা বাজাতে রাজপথে নেমে পড়ছেন সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
রামমন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে গেরুয়া শিবিরে তুঙ্গে উঠেছে প্রস্তুতি। একই সঙ্গে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছেন দেশের ৪ প্রান্তের ৪ শংকরাচার্য। তাঁরা রীতিমত সেই অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়েছেন। এই আবহেই ২২ জানুয়ারি কলকাতায় সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন তৃণমূলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে জানিয়েছেন, কলকাতায় ২২ জানুয়ারি যখন সংহতি মিছিল হবে তখন রাজ্যের ব্লকে ব্লকে করতে হবে সম্প্রীতি মিছিল।
এদিন মমতা অবশ্য এটাও জানিয়েছেন, তিনি রামমন্দিরের উদ্বোধনের বিরোধিতা করে পাল্টা কিছু করছেন না। রামমন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে তিনি সাধুসন্তদের কথা শুনছেন। তাঁর অভিমত, ‘মনে রাখবেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। ২৩ তারিখ নেতাজির জন্মদিন। সেই কারণেই তার আগের দিন আমি কলকাতায় সংহতি মিছিল করছি আর ব্লকে ব্লকে হবে সম্প্রীতি মিছিল। এর সঙ্গে রামমন্দিরের কোনও সম্পর্ক নেই।’ যদিও ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, রামমন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে গোটা দেশের নতুন করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে। সম্ভবত সেই কথা মাথায় রেখেই সব ধর্মের মানুষদের নিয়ে কলকাতায় সংহতি মিছিলের আর রাজ্যের ব্লকে ব্লকে সম্প্রীতি মিছিল করার কথা ঘোষণা করেছেন নেত্রী।