হাবাসের তত্ত্বাবধানে ডার্বির প্রস্তুতি শুরু মোহনবাগানের

আপাতত ফেরান্দো অধ্যায় শেষ মোহনবাগানে। আজ থেকে শুরু হয়ে গেল হাবাস পর্ব। মরসুমের শুরুতে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর করে আনা হয়েছিল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে। এএফসি কাপে ব্যর্থতা, ইন্ডিয়ান সুপার লিগে হারের হ্যাটট্রিকের পর এ মাসের শুরুতেই হুয়ান ফেরান্দোকে সরিয়ে দিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে। আইএসএলের উদ্বোধনী সংস্করণে তাঁর কোচিংয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অ্যাটলেটিকো ডি কলকাতা। তবে মোহনবাগানের কোচ হিসেবে এ বার নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে হাবাসের।

মোহনবাগানে এ বার সহকারী কোচ হিসেবে রয়েছেন ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। আইএসএলে ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে ফেরান্দো লাল-কার্ড দেখায় নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে দায়িত্বে ছিলেন ক্লিফোর্ড। কলিঙ্গ সুপার কাপেও প্রথম দু-ম্যাচে ক্লিফোর্ড মিরান্ডার কোচিংয়েই খেলেছে মোহনবাগান। দু ম্যাচই জিতেছে সবুজ মেরুন। শ্রীনিধি ডেকান এবং হায়দরাবাদ এফসি দু-ম্যাচেই মোহনবাগানের পক্ষে স্কোর লাইন ২-১। শুক্রবার বড় ম্যাচ।

ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান একই গ্রুপে। যে কোনও একটা দল সেমিফাইনালে যাবে। মোহনবাগানের মতো ইস্টবেঙ্গলও প্রথম দু-ম্যাচ জিতেছে। পয়েন্ট এবং গোলপার্থক্য দু-দলেরই সমান। ফলে শুক্রবারের ডার্বি কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল। যদিও কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গল। একান্তই যদি ডার্বি ড্র হয়, বেশি গোল করার সুবাদে সেমিফাইনালে যাবে ইস্টবেঙ্গল। ফলে মোহনবাগানের কাছে এটি ডু অর ডাই ম্যাচ। সেমিফাইনালে যেতে জয় ছাড়া বিকল্প নেই সবুজ মেরুনের কাছে।

প্রথম দু-ম্যাচ জিতলেও একঝাঁক প্লেয়ার না থাকায় মোহনবাগানের পারফরম্যান্স বিশাল স্বস্তি দেওয়ার মতো ছিল না। তবে হাবাস প্রস্তুতিতে যোগ দিতেই দলের মানসিকতাই যেন বদলে গিয়েছে। সোমবারই কলকাতায় পৌঁছেছেন হাবাস। এ দিন ভুবনেশ্বরে পৌঁছেই টিমকে নিয়ে ডার্বির প্রস্তুতিতে নেমে পড়েন। প্লেয়াররা চনমনে। দু-দিন আগেও মোহনবাগানকে ডার্বিতে ‘পিছিয়ে’ রয়েছে মনে হলেও হাবাসের উপস্থিতি কিন্তু অন্য বার্তা দিচ্ছে। হাবাস এখনও দুটো দিন পাবেন দলকে প্রস্তুত করার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 15 =