নিজস্ব প্রতিবেদন, মালদা: পশ্চিমবঙ্গের টাঙ্গাইল, গরদ এবং কোরিআলি এই তিন ধরনের শাড়ি জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন) তকমা পাওয়ার পর এবার মালদার তাঁতশিল্পীরা জিআই তকমা পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে জিআই তকমা পাওয়ার ক্ষেত্রে মালদা জেলা ডিßিT্রক ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেন্টারের কর্তৃপক্ষের কাছেও তাঁতশিল্পীরা আবেদন জানিয়েছেন বলে দাবি। মালদা জেলা ডিস্ট্রিক্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেন্টারের জেনারেল ম্যানেজার মানবেন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন, তাঁতশিল্পের ওপর জিআই তকমা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রস্তুতকারকদের আবেদন করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে সেটি ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, জিআই অর্থাৎ জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন যা ভৌগোলিক নির্দেশিকাকেই বোঝায়। মূলত হস্তশিল্প, কৃষিশিল্প এবং খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদিত পণ্যের ওপরই কেন্দ্র সরকার এই জিআই তকমা লাগু করে। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে উৎপাদিত টাঙ্গাইল, গরদ এবং কোরিয়ালি এই তিন ধরনের শাড়ির ওপর জিআই তকমা দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। আর তারপর থেকেই মালদার তাঁতশিল্পীরা এই জিআই তকমা পাওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।
বলা বাহুল্য , জেলার পুরাতন মালদা, কালিয়াচক এবং ইংরেজবাজার ব্লকের বেশ কিছু এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন তাঁতশিল্পের সঙ্গে যুক্ত কারিগররা। বর্তমান সময়ে উন্নত প্রযুক্তির পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে তাঁতশিল্প প্রস্তুতকারকরা গামছা, লুঙ্গি সহ বিভিন্ন ধরনের বস্ত্র উৎপাদন বন্ধ করে এখন খাদি বস্ত্রের দিকেই আগ্রহ বাড়িয়েছেন। পুরাতন মালদা ব্লকের মঙ্গলবাড়ি এলাকার তাঁতশিল্পী হাবুল দাস, নিবারণ দাস, খুদিরাম বোসদের দাবি, একটা সময় মালদার বিভিন্ন এলাকায় তাঁতশিল্পীদের নানান তৈরি বস্ত্র উৎপাদিত হত। বহু কারিগর এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু এখন সেই ধরনের পোশাক উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেকেই এই কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। বর্তমানে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা খাদি বস্ত্র তৈরির ও™র নির্ভরশীল। তাই মালদার তাঁতশিল্পীরা এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে জিআই তকমার আবেদনেরû দাবি জানাচ্ছেন।