জেনেরেশন ওয়াইকে উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণের টিপস দিলেন মাধবন

আর মাধবন। ‘ব়্যাহেনা হ্যায় তেরে দিল মে’-র ম্যাডি। তাঁর হাসির এক ঝলকই বুকে তুফান তুলতে পারে তরুণীদের বুকে। হিরো থেকে সম্প্রতি সিনেমার ভিলেন হয়েও যথেষ্ট প্রশংসিত তিনি।বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা নিজের জীবনে উদ্বেগ-দুশ্চিন্তা সামাল দেন কীভাবে সেটাই জানালেন ‘কার্লি টেলস’-এর পাওয়ার ব্রেকফাস্টের দ্বিতীয় পর্বে।টিপস দিলেন তরুণ প্রজন্মকে।

অবশ্যও একথাও বলেন তিনি, তিনি কোনও ডাক্তার নন বা বিশেষজ্ঞ নন। তবে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট-এর টিপস নিজের মতো করে তৈরি করেছেন তিনি।

কী সেই টিপস

জোরে শ্বাস-মনে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় পড়লে, খুব অস্থির লাগলে প্রথমেই যেটা করতে হবে শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রণ। এক্ষেত্রে কেউ ১থেকে ৫ বা ১০ গুনতে গুনতে গভীরভাবে শ্বাস নেবেন। কয়েক সেকেন্ড সেটা ভেতরে ধরে রেখে একইভাবে গুনতে গুনতে শ্বাস ছাড়বেন। মিনিট ৭-১০ এটা করা গেলেই কিছুটা উদ্বেগ বা অস্থিরতা কমবে।

অন্ধকারের পর আলো আসবে- এটা কিছুটা দার্শনিকভাবে নিজের মনকে বোঝানো বা সেল্ফ কাউন্সেলিং। খারাপ হয়তো বর্তমান সময়টা, কিন্তু একদিন ভালো আসবেই। কষ্টের শেষে আনন্দ আসবেই জীবনে ঠিক যেমন রাতের শেষে দিন হয়।এভাবেই খারাপ সময় নিজের মনকে ভবিষ্যতের ভালোর স্বপ্ন দেখিয়ে বিশ্বাসের সঙ্গে এগোতে হবে। বারবার মনকে বোঝাতে হবে।

মনকে অন্য কিছুতে ব্যস্ত করে তোলা-হয়তো হতাশাজনক পরিস্থিতির মধ্যে কেউ রয়েছেন, বা কোনও সমস্যা জীবনে যার হয়তো তাত্ক্ষণিক সমাধান সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রে মনকে ভালো রাখতে অন্য দিকে ব্যস্ত রাখতে হবে। সেটা পছন্দের কোনও কাজ হতে পারে, কোনও বন্ধু বা আত্মীয়র সঙ্গে গল্প হতে পারে, পোষ্যের সঙ্গে সময় কাটানো হতে পারে। যার যেভাবে মন ভালো থাকবে।চিকিত্সকরা বলছেন, পছন্দের মানুষ, পোষ্য বা কাজে ব্যস্ত থাকলে অক্সিটোসিন হরমোন তৈরি হয় যা মনকে খুশি রাখতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 5 =