চলতি আইপিএলের ৫৩ নম্বর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল লখনউ সুপার জায়েন্টস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। শনিবার পুণের এমসিএ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে কেকেআরের জন্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেখতে গেলে এই ম্যাচ ও আগামী তিন ম্যাচ জিতলেই শ্রেয়স আইয়ার অ্যান্ড কোংয়ের প্লে-অফের স্বপ্ন জিইয়ে থাকত। সেখানে লখনউয়ের কাছে ৭৫ রানে হেরে কেকেআরের প্লে-অফের আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল!
বলাই বাহুল্য যে, কলকাতার শেষ চারে যাওয়ার রাস্তা অত্যন্ত কঠিন হয়ে গেল! অন্যদিকে কলকাতাকে হারিয়ে লখনউ পৌঁছে গেল লিগ টেবিলের শীর্ষে। ১১ ম্যাচের পর গুজরাত টাইটান্সেরও ১৬ পয়েন্ট। কিন্তু নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় এখন লিগের ‘ফার্স্ট বয়’ সঞ্জীব গোয়েঙ্কার ফ্র্যাঞ্চাইজি।
এদিন টস জিতে শ্রেয়স ব্যাট করতে পাঠান কেএল রাহুলদের। এদিন কেকেআর দলের তারকা পেসার উমেশ যাদবের পরিবর্তে হর্ষিত রানাকে খেলায়। টসের সময় শ্রেয়স জানান যে, উমেশ কাফ মাসলে চোট পেয়ে এই ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছেন। লখনউয়ের প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক (২৯ বলে ৫০) ও তিনে নামা দীপক হুডা (২৭ বলে ৪১) এদিন ব্য়াট হাতে ছাপ রাখলেন। ক্রুনাল পাণ্ডিয়া (২৭ বলে ২৫), আয়ূষ বাদোনি (১৮ বলে অপরাজিত ১৫) ও মার্কাস স্টোইনিস, (১৪ বলে ২৮) ও জ্যাসন হোল্ডারদের (৪ বলে ১৩) মিলিত প্রয়াসে লখনউ নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান তোলে। বল হাতে আন্দ্রে রাসেল পান জোড়া উইকেট। টিম সাউদি, সুনীল নারিন ও শিবম মাভি পেয়েছেন একটি করে উইকেট। মাভি সবচেয়ে বেশি রান হজম করেছেন। নির্দিষ্ট কোটার বল করে তিনি দিয়েছেন ৫০ রান।
এই রান তাড়া করতে নেমে কেকেআর ৬৯ রানে দলের প্রথম পাঁচ ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলে। এখানেই কার্যত ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যায় কলকাতার। প্রথম পাঁচে একজন ব্যাটারও ২০-র গণ্ডি টপকাতে পারেননি। ছয়ে নেমে আন্দ্রে রাসেল কিছুক্ষণ তাণ্ডব চালান। ১৯ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। সাতে নেমে নারিন খেলেন ১২ বলে ২২ রানের ইনিংস। ১৫ ওভারের মধ্যেই রাসেল-নারিনরা ডাগআউটে ফিরে যান। শেষ পাঁচ ওভারে কেকেআরের ব্যাটাররা এসেছেন আর গিয়েছেন। লখনউয়ের জার্সিতে বল হাতে আবেশ খান ও জেসন হোল্ডার কলকাতাকে বুঝে নিয়েছিলেন। দু’জনেই পান তিনটি করে উইকেট।