ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে চেষ্টাই সার। এর মধ্যে তিন বার ফাইনালে উঠলেও ট্রফি আসছিল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। গত মরসুমে থেকেই একটা বিষয় আলোচনায়। বলা হচ্ছিল, আরসিবির মালিকানা বদল হলে ভাগ্য বদল হতে পারে। এ বার অবশ্য ট্রফি জিতেছে আরসিবি। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ট্রফি। যদিও ট্রফি জয়ের সেলিব্রেশন হতাশার হয়ে উঠেছিল। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। আহত হন অনেকেই। পদপিষ্টের ঘটনার পরও আরসিবির হোমগ্রাউন্ড চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ভিতরে সেলিব্রেশন চলছিল। যা নিয়ে প্রশ্নও ওঠে। আরসিবি প্লেয়ার, টিম ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কর্নাটকের ডেপুটি চিফমিনিস্টার ডিকে শিবকুমার। ট্রফি তুলে ধরতেও দেখা যায়। সেই উপমুখ্যমন্ত্রীকে নিয়েই জল্পনা, তিনি কি আরসিবি কিনছেন?
আইপিলে চ্যাম্পিয়ন হলেও গত কয়েক দিন ধরেই আলোচনায়, আরসিবির মালিকানা বদল হতে পারে। শোনা যাচ্ছিল, আরসিবির বর্তমান মালিক অর্থাৎ যুক্তরাজ্যের ডিয়াগিওর সঙ্গে যুক্ত ইউনাইটেড স্পিরিট। ডিয়াগিও আরসিবির স্টেক বিক্রি করতে চায়, এমন খবরই ছড়িয়েছিল। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়, কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার আরসিবি কিনতে চলেছেন। এই জল্পনায় জল ঢাললেন তিনি নিজেই।
কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেন, ‘আমি পাগল নই। আমি বহু বছর ধরেই কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার একজন সদস্য মাত্র। আরসিবি টিম ম্যানেজমেন্টের অংশ হওয়ার মতো সময়ও আমার নেই। আমার কেন আরসিবি কেনার প্রয়োজন? আমি তো রয়্যাল চ্যালেঞ্জ পানও করি না।’
ডিয়াগিও আরসিবির স্বত্ব বিক্রি করতে চায়, এই খবর ছড়াতেই অবশ্য বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে মেল করে এই সংস্থা জানিয়ে দেয়, পুরোটাই ভুয়ো খবর। তাদের এমন কোনও ভাবনা নেই। তারা যে আরসিবি বিক্রি করছে না, পরিষ্কার করে দেয় ডিয়াগিও।