বর্ষবরণের রাতেই নিজের মেয়ের উপর ঘটে যাওয়া পাশবিক অত্যাচারের বিচার পেতে দিল্লি রওনা দিলেন কামদুনি ধর্ষণকাণ্ডের বিচারপ্রার্থীরা। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গোটা দেশ যখন আনন্দ ও উৎফুল্লতায় ব্যস্ত তখন একদম নিভৃতে নিজেদের জীবনে ঘটে যাওয়া অবিচারের বিরুদ্ধে আইনত বিচার পাওয়ার আশাতে দিল্লির সর্বোচ্চ আদালতে পৌঁছানোর জন্য যাত্রা করল বিচারপ্রার্থীরা। নতুন বছরের ২ তারিখে দেশের সর্বোচ্চ আদালত কামদুনি মামলার শুনানি করবে। ঠিক তার আগে রবিবার রাত্রি ৯ টা ৫০ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে রওনা দিলেন বিচারপ্রার্থীরা। রাজ্য সরকার ও রাজ্যের কলকাতা আদালতের বিচারে অখুশি হয়ে তারা সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। তাদের আশা দেশের সর্বোচ্চ আদালত তাদের প্রকৃত বিচার দিতে পারবে। তাদের অভিযোগ রাজ্যে কোথাও ধর্ষণ হলেও রাজ্য সরকার ওই ধর্ষণকারীদের পক্ষ নেয়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার তাদের প্রকৃত বিচার দেবে না। তাই আমরা বিচারের আশাতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও তারা দেখা করবে। মোট পাঁচ জন রবিবার রাত্রে রওনা দিল দিল্লির উদ্দেশ্যে। দীর্ঘ দশ বছর রাজ্য সরকারের উপর ভরসা রাখার পর শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের, ভেঙেছে ভরসাও। তাই এবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দরজায় টোকা দিয়েছেন তারা বিচারের আশাতে। এতবড় ঘটনা ঘটার পরেও মুখ্যমন্ত্রী একবারের জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রয়োজন মনে করেন নি বলেও অভিযোগ।
কামদুনিকাণ্ডে ধর্ষিতার মা অভিযোগ করে বলেন, ‘ আমরা রাজ্য সরকারের থেকে বিচার চেয়েছিলাম, পাই নি। তাই দেশের উচ্চ আদালতে যাচ্ছি। নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীরা শাস্তি পেল, আমরা পেলাম না। আমরা দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবো। আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে রাস্তার ধারে ঝোপে ফেলে দিয়েছিল। তার দেহ পেয়েছিলাম বলেই সকলে জানতে পারলো। রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে একে একে দোষীরা ছাড়া পেয়ে গেল। এখন বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে যাচ্ছি।’