বিচারপতির সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে কল্যাণ বললেন, “এই কোর্টে শুনানির জন্য আসব না”

কলকাতা : “আমি আর এই কোর্টে শুনানির জন্য আসব না।” শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানীকালে বিচারপতির সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে এ মন্তব্য করলেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির প্রেক্ষিতে মামলায় কল্যাণবাবুর যুক্তিতে বেশ বিরক্ত হন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তিনি প্রশ্ন করেন, “আমি জানতে চাইব যে মন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কতজন পুলিশ আধিকারিক আহত হয়েছেন?” তাঁর পর্যবেক্ষণ, “আমি আবারও বলছি যে মন্ত্রীর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুতর গাফিলতি হয়েছে।”

বিচারপতি বলেন, “যদি এরকম হত যে প্রচুর লোক এসে মন্ত্রীর উপর হামলা করেছে এবং নিরাপত্তা আধিকারিকের সংখ্যা অপ্রতুল। এবং নিরাপত্তা আধিকারিকদের আহত হওয়ার পর মন্ত্রী আহত হয়েছেন তাহলে অন্য ব্যাপার। কিন্তু এখানে সেটা হয়নি। যদি সাংবিধানিক পদাধিকারীরা একবার পদ গ্রহণ করেন, তাহলে তাঁকে প্রোটোকল তো মানতেই হবে।”

এরপর কল্যাণবাবুকে সাফ সতর্ক করেন বিচারপতি। বলেন, “যাই হোক। আপনি যেভাবে কোর্টের সঙ্গে কথা বলেন… তাতে এমনভাবে প্রচার হয়, যাতে অন্তত এই কোর্ট নিজেকে অসম্মানিত মনে করছে।” এখানেও থেমে যাননি কল্যাণবাবু। বলেন, “একপেশে দেখানো হলে কিছু করার নেই। অনেক ট্রোলিংও হয়। এর জন্য আমি দুঃখিত। আমি আর এই কোর্টে মামলা করব না।”

বিচারপতি ঘোষ বলেন, “আমার মতে আদালতকে ম্যালাইন (ভাবমূর্তি নষ্ট) করার চেষ্টা হয়েছে। গঠনমূলক সমালোচনা এক জিনিস, আর ম্যালাইন করা আর একেবারে ভিন্ন জিনিস।” এই সময় কল্যাণবাবু বলেন, “কোনোভাবে আমি যদি আদালতকে অসম্মান করে থাকি, তাহলে আমি দুঃখিত। আমি আর এই আদালতে কোর্টে শুনানির জন্য আসব না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 4 =