ঝাড়গ্রাম উদ্ধারের লড়াইয়ে কালীপদ সরেন

ঝাড়গ্রাম: দেওয়ালে রং তুলি গুলিয়ে নিজের নাম লিখছেন, জোড়া ফুল প্রতীক এঁকে তাকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে প্রচার করছেন ঝাড়গ্রামের তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেন। গতবার এই লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জিতেছিল। তাই ঝাড়গ্রামের দেওয়াল লিখন কি পড়তে পারছেন কালীপদ সরেন? বললেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামের সভায় নাম ঘোষণার পর থেকেই শুরু করেছি প্রচার, মানুষের সাড়াও পাচ্ছি ভালো। আদিবাসী সাহিত্য জগতে খেরোয়াল সরেন নামে পরিচিত কালীপদবাবু বছর দুয়েক আগেও বিজেপিতে ছিলেন, তারপর যোগ দেন তৃণমূলে।

চৈত্রের প্রখর রোদ গরমে ঝাড়গ্রামের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছোট ছোট কর্মিসভা করছেন। কর্মীরা নয়াগ্রাম গোপীবল্লভপুর বিনপুর গড়বেতা বান্দোয়ান ও ঝাড়গ্রাম বিধানসভা এলাকায় দেওয়াল লিখছেন। তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেন কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে দেখছেন দেওয়াল লিখন। কখনো হাতও লাগাচ্ছেন। কর্মীদের কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়ে পেশাদার রাজনীতিকের মতো হেসে ভিক্টরি সাইন দেখিয়ে গাড়িতে উঠছেন। কিন্তু প্রতিদিন সারাদিনের প্রচার ব্যস্ততার মাঝে থাকছে দুশ্চিন্তার ছাপ। গতবারের মতো এবারও ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রটি বিজেপির দখলে চলে যাবে না তো, -এরকমই অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন নেতাকর্মীরাও। তাই, বিজেপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করতে না পারলেও একটা অস্থিরতা ধরা পড়ছে তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেনের মধ্যে। কালীপদ সরেনের নাম ঘোষণা হওয়ার পর ঝাড়গ্রাম শহরের তৃণমূল অফিসে উড়ছে বড় মাপের কয়েকটি ঘাসফুলের পতাকা। কর্মীদের আনাগোনাও বেড়েছে। কয়েক দশক থেকে সাঁওতালি বই লিখে আসা কালীপদ ওরফে খেরওয়াল সরেনের ভোটের ময়দানে নামাটা কিছুটা চমকে বটে। দলনেত্রী নিজে তাকে মনোনীত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সম্মান রাখতে জয়ের স্বাদ পেতে রাত দিন ছুটে বেড়াচ্ছেন কালীপদবাবু। নিবিড় সংযোগ রেখে চলছেন বিধানসভা কেন্দ্রগুলির বিধায়ক সহ স্থানীয় নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − two =