কালকের পর থেকে মোট ১৫৫ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে জাপানে। বছরের প্রথমদিনেই বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে এসেছে জাপানে। সোমবার রিখটার স্কেলে ৭.৬ মাত্রায় তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপান। শেষ পাওয়া তথ্য অনুসারে, এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানা গিয়েছে এখনও চলছে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারের কাজ। মনে করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে অনেকেই। এই ভূমিকম্পের ফলে দেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। ঘরছাড়া বহু মানুষ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
উল্লেখ্য, জাপানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইশিকাওয়ার নোটো এলাকা কম্পনের উৎসস্থল। তার পরে কম্পন অনুভূত হয়েছে রাজধানী টোকিও থেকে শুরু করে একাধিক বড় শহরে। রাস্তায় ফাটল ধরেছে। বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। সমুদ্রের ঢেউ ৫ মিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিল আবহাওয়া দপ্তর। কিন্তু আপাতত সেই শঙ্কা দূর হয়েছে।
ভূমিকম্প ও সুনামির ভয়াবহতা উল্লেখ করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সোমবারের ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। কিন্তু, রাস্তাঘাটে এমনভাবে ধস নেমেছে, ফাটল হয়েছে যে প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে সেনার। এমনকী স্থানীয় বিমানবন্দরের রানওয়েতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’ সোমবার রাত পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। ও সোমবার বন্ধ রাখা হয়।
মঙ্গলবার জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সোমবারের পর থেকে ইশিকাওয়া ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি জায়গায় অন্তত ১৫৫ কম্পন অনুভুত হয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগ কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৩-এর উপরে ছিল। জারি করা হয়েছিল সুনামির সতর্কতা। তবে এদিন সুনামির সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছে।