সদ্য প্রকাশিত তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীদের ব্যর্থতার জন্য কংগ্রেসকেই দায়ী করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, এই পরাজয় আসলে কংগ্রেসের পরাজয়। সোমবার বিধানসভায় ভোটে বিরোধীদের ভরাডুবির কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের সদস্যদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি না হওয়ার কারণে ভোট কাটাকাটির অঙ্কে বিজেপি জিতে গিয়েছে। ইন্ডিয়ার জোট শরিকদের পাশাপাশি ছোট ছোট অনেক দল বিজেপির পক্ষে ও বিপক্ষে ভোট কেটেছে । কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু প্রচার করলে হবে না। ভোটে লড়ার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
একই সঙ্গে ভোটে জেতার জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহার করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন। বিজয়ীদের অভিনন্দন জানালেও নির্বাচনকে দূষিত করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। তবে বিরোধী জোটের সদস্যদের মধ্যে যথাযথ ভাবে আসন বণ্টন হলে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা কংগ্রেসের হার, মানুষের পরাজয় নয়। বাবুরা একটা বেশি পেয়েছে (পড়ুন রাজ্য) আর কংগ্রেস একটায় হেরেছে একটা পেয়েছে। কংগ্রেসের থেকে ছত্তিশগড় আর রাজস্থান নিয়ে নিয়েছে। আবার কংগ্রেস তেলঙ্গনায় জিতেছে।’
ভোট শতাংশের হিসাবে দেখা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে ৮ শতাংশ ভোটের ফারাক রয়েছে। কিন্তু রাজস্থানে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে ভোটের ফারাক মাত্র ২ শতাংশ আর ছত্তিশগড়ে ৪ শতাংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা কেউ না কেউ ভোট কেটেছে। সেই জন্য বলছি আসন সমঝোতা করলে এটা হত না।’ তৃণমূলনেত্রী আরও বলেন, ‘আমি এখনও মনে করি আসন সমঝোতা করলে চব্বিশ সালে বিজেপি আসবে না। ইন্ডিয়া জোট একসঙ্গে কাজ করবে। কিছু ভুল থাকলে শুধরে নেবে।’ রাজস্থানের ভোট ফলাফলের উদাহরণ টেনে মমতা বলেন, ‘রাজস্থানে ভোটের ফারাক খুব কম। ৩৯ শতাংশ আর ৪২ শতাংশ। অথচ ১২ শতাংশ ভোট কেটে নিয়েছে আমাদের ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীরাই। এর জন্য শুধু রাজস্থানেই ৭০ টা আসন জিতে গিয়েছে বিজেপি। সুতরাং শুধু প্রচার করলেই হয় না, আর বত্তৃ«তা দিলেই হয় না। স্ট্র্যাটেজিটা ঠিক করতে হয়। স্ট্র্যাটেজি ঠিক করলেই সব ঠিক হবে।’