‘নীরবে’ টিম ইন্ডিয়ায় প্রাক্তন হয়ে যাচ্ছেন বিরাট?

শুরু হলে, সারা হবেই। সেটা কতটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে, বলা কঠিন। আর দশটা মানুষের মতো প্রত্যেক ক্রীড়াবিদদের জীবনেও একটা সময় আসে। নতুনদের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হয়। তবে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টা কখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে হয়, আবার বেশির ভাগের ক্ষেত্রে নীরবেই। অনেক ক্ষেত্রে ‘গোল্ডেন’ হ্যান্ডশেক। বাইরে থেকে হয়তো বোঝা যায় না। মনে হয়, সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার হয়তো নিজের ইচ্ছেতেই সরে দাঁড়িয়েছেন। একটা দ্বিধাও থাকে, ছেড়ে দিতে বাধ্য হননি তো! অনেকের আবার টাইমিং দুর্দান্ত। যখনই দেওয়াল লিখন পড়তে পারেন, কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলেন। বিরাট কোহলির ক্ষেত্রেও কি এমন কিছুই হতে চলেছে?

ভারতীয় ক্রিকেট হোক বা বিশ্ব ক্রিকেট। বর্তমান প্রজন্মের সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি। ক্যাপ্টেন বিরাট অতীত, ব্যাটার বিরাট কাগজে কলমে এখনও বর্তমান। কথা হচ্ছে, ভারতীয় দল নিয়ে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সদ্য পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিতেছে ভারত। পিতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন কিং কোহলি। ফলে এই সিরিজে তাঁকে পাওয়া যায়নি। মনে করা হয়েছিল, অন্তত শেষ টেস্টে তাঁকে পাওয়া যেতে পারে। সেটাও হয়নি। এরপর থেকেই নানা গুঞ্জন।

ভারতের তরুণ ব্রিগেড বা রোহিত শর্মার ভাষায়, ‘গার্ডেন মে ঘুমনে ওয়ালে বন্দে’, যে ভাবে সিরিজ জয়ে অবদান রেখেছে, তাতে একটা বিষয় অন্তত পরিষ্কার। বিরাটকে ছাড়াও জেতা যায়। আর এটা শুধু এ বারই নয়। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কোহলি বিরাট মাপের প্লেয়ার, ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর অবদান অস্বীকার করার জায়গা নেই। তবে তাঁকে ছাড়া ভারতীয় ক্রিকেট এগতে পারবে না, এই ভাবনা বৃথা। অতীতেও অনেক তারকা ক্রিকেটার এসেছেন, বিশ্ব ক্রিকেটে শাসন করেছেন, কোনও একদিন তাঁকেও অবসর নিতে হয়েছে।

সচিন তেন্ডুলকর ছাড়া ভারতীয় ক্রিকেটে কাউকে ঘটা করে অবসরের সুযোগ দেওয়া হয়েছে? কিংবা বোর্ডের তরফে আলাদা কোনও বন্দোবস্ত। মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর বলেই তাঁকে নিয়ে বাড়তি হইচই প্রত্যাশিত ছিল। নিজের হোম গ্রাউন্ড ওয়াংখেড়েতে কেরিয়ারের শেষ টেস্ট খেলেছিলেন কিংবদন্তি সচিন তেনডুলকর। তাঁর সময়ে ভারতীয় দলে আরও অনেকেই ছিলেন, যাঁরা এমন কিছু একটা প্রত্যাশা করেছিলেন।

ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ই হোক কিংবা রাহুল দ্রাবিড়রা। কিংবা পরবর্তীতে বীরেন্দ্র সেওয়াগ, যুবরাজ সিং। কেউই কিন্তু সেই অর্থে বিদায়ী ম্যাচ পাননি। কোনও একটা ম্যাচ তাঁদের কাছে ‘বিদায়ী’ হয়েছিল। মহেন্দ্র সিং ধোনি হঠাৎই অবসর ঘোষণা করেছিলেন। বিরাট কোহলিও ধীরে ধীরে এ ভাবেই টিম ইন্ডিয়ান ‘প্রাক্তন’ হয়ে যাচ্ছেন না তো? আপাতত জল্পনায় সেটাই। জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কোহলি টিমে থাকবেন কীনা, সেই নিয়ে প্রবল জল্পনা। যদি বিশ্বকাপের দলে না থাকেন বিরাট?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 8 =