পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া জবাব দিতে পারে ভারতই,  মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রশংসীত মোদি সরকার

নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানের মদতে জঙ্গি হানার বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (Surgical Strike) হোক বা এয়ার স্টাইক (Air Strike) বারবরা সারা বিশ্বের সামনে ভারতের কঠোর অবস্থান সামনে এনেছে। মার্কিন কংগ্রেসকে রিপোর্ট আকারে আমেরিকার গোয়েন্দা কমিউনিটি জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনার প্ররোচনার মুখে ভারতের আগের সরকারগুলির তুলনায় বর্তমান সরকার অনেক বেশি সক্রিয়। ভারতের বর্তমান সরকার পাকিস্তানি প্ররোচনার তৎক্ষণাৎ জবাব দেয়।

দেশের বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীকে এর কৃতিত্ব না দিতে চাইলেও বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানি উস্কানির বিরুদ্ধে মোদির নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিকবার জানিয়েছেন ‘এটা নতুন ভারত। দেশের ওপর কোনও আঁচ এলে ঘরে ঢুকে প্রত্যাঘাত অনিবার্য।’ এবার মোদি তথা বিজেপির এই দাবিকেই মান্যতা দিল মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ।

মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের ডিরেক্টরের দপ্তর (ODNI) থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া সমস্যা উদ্বেগের বিষয়। ঝুঁকি কম থাকলেও পরমাণু শক্তিধর দুটি দেশের লড়াই যে কোনও সময়ে মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। ওডিএনআই রিপোর্ট জানিয়েছে, ‘ভারত বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে পাকিস্তানের সমর্থন করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। পাকিস্তানের প্ররোচনায় ভারত বিরোধী যে কোনও কার্যকলাপকে সেনা বাহিনীর মাধ্যমে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার ভারতের প্রবণতা আগের ভারত সরকারগুলির থেকে বর্তমান ভারত সরকারের অনেক বেশি। কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে ফলে সংঘর্ষের সম্ভাবনাও রয়েছে।’

আমেরিকার ‘অফিস অফ ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স’ (ODNI)-এর সদ্যপ্রকাশিত রিপোর্টে ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) উত্তেজনাবৃদ্ধির আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দুই রাষ্ট্রের অ-নির্ধারিত সীমান্তে সামরিক আধিপত্যবাদের কারণে ফের সংঘর্ষের ঝুঁকি রয়েছে। যা আমেরিকার স্বার্থের পরিপন্থী।’ লাদাখের গালওয়ানা উপত্যকায় ২০২০-র সংঘর্ষ এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতির কথাও রয়েছে রিপোর্টে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + 10 =