সিরিজের রুদ্ধশ্বাস শেষ ম্যাচে শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়াকে হারাল ভারত

হাইভোল্টেজ বললেও যেন কম বলা হয়। চূড়ান্ত নাটকীয় ম্যাচ। শেষ ওভারে নানা ঘটনা। মাত্র ৬ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্য়বধানে জিতল ভারত। ব্যাটিংয়ে শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্যাটেলরা ভরসা দিলেন। বোলিংয়ে দুর্দান্ত শুরু মুকেশের। মাঝে অক্ষর-রবি স্পিনজুটির দাপট। যদিও ম্যাচ থেকে হারিয়ে গিয়েছিল ভারত। বোর্ডে মাত্র ১৬০ রানের পুঁজি। চিন্নাস্বামীতে এই রান নিয়ে জেতা সহজ নয়। তবে স্লগ ওভারে মুকেশের অনবদ্য বোলিং। শেষ ওভারে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিলেন অর্শদীপ।

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে খেলা মানেই হাইস্কোরিং ম্যাচের প্রত্যাশা। যদিও গ্যালারির প্রত্য়াশা সেই অর্থে পূরণ হল না। সূর্যকুমার যাদব, রিঙ্কু সিংদের বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখার জন্য মুখিয়ে ছিল সকলেই। সিরিজ আগেই নিশ্চিত হয়েছিল ভারতের। নজর ছিল পাঁচ ম্যাচের সিরিজের ফাইনাল স্কোরলাইন ৪-১ করায়। বেঙ্গালুরুতে ম্যাচের আগে বৃষ্টি, মন্থর পিচ ও আউটফিল্ড। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে হয় ভারতকে। বড় শট খেলার চেষ্টায় দ্রুত তিন উইকেট হারায় ভারত। রিঙ্কু সিং ক্রিজে নামতেই উচ্ছ্বাস গ্যালারিতে। যদিও তাঁর ইনিংস দীর্ঘ হল না। ভারতীয় শিবিরে ক্রমশ চিন্তা বাড়তে থাকে। শ্রেয়স আইয়ারের হাফসেঞ্চুরি এবং অক্ষর প্যাটেলের দায়িত্বশীল ইনিংসের সৌজন্যে অজিদের ১৬১ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত।

ম্যাচের প্রতি মুহূর্তেই রং বদলাতে থাকে। চূড়ান্ত নাটক শুরু হয় স্লগ ওভারে। ১৭তম ওভারে ৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মুকেশ কুমার। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায় মুকেশের এই ওভার। কিন্তু পরের ওভারে রাশ আলগা হয়। লাইন লেন্থ ঠিক রাখতে পারেননি আবেশ খান। ১৯তম ওভারে ফের মুকেশ বোলিংয়ে আসেন। দু-ওভারে বাকি মাত্র ১৭ রান। প্রথম বলেই ক্যাচ উঠেছিল। খুবই কঠিন। মরিয়া চেষ্টা করলেও ক্যাচ নিতে পারেননি ঋতুরাজ। ক্রিজে ম্যাথিউ ওয়েড থাকায় ম্যাচ তখনও অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রণে। ওয়েড বাউন্ডারি মেরে বুঝিয়ে দেন, ব্যাকফুটে নেই তিনি। এই সিরিজে প্রথম চার ম্যাচে আউট করা যায়নি ম্যাথিউ ওয়েডকে। অজি শিবিরের আশা ওয়েড, ভারতীয় শিবিরে ভরসা মুকেশ। ১৯তম ওভারে ৭ রান দেন মুকেশ।

শেষ ওভারে অজিদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০ রান। প্রথম তিন ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন অর্শদীপ। ৯ রান ডিফেন্ড করতে হত তাঁকে। উল্টোদিকে ম্যাথিউ ওয়েড। প্রথম ডেলিভারি শর্ট পিচ। ওয়াইড না দেওয়ায় আম্পায়ারিং ক্ষুব্ধ ওয়েড। পরের বলটি ডট। তৃতীয় বলেই ওয়েডের উইকেট। সিরিজে প্রথম বার আউট হলেন অজি অধিনায়ক। শেষ ওভারে তিন রান দিয়ে ১ উইকেট। মাত্র ৬ রানে জয়। বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে ভাসে গ্যালারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − thirteen =