বিশ্বকাপের মঞ্চ। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ফলাফল কী হবে, সেটা হয়তো আগে থেকেই আন্দাজ করা যায়। আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সেই অবধারিত পথেই এগোল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করল টিম ইন্ডিয়া। ভারতীয় মহিলা দল জিতল ১০৭ রানের বিরাট ব্যবধানে।
এই ম্যাচে নামার আগেই ধারে ও ভারে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ভারত। তবু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে খেলা তাই কোথাও একটা টেনশনের চোরাস্রোত হয়তো বইছিল। সেই টেনশন বাড়তে থাকে এদিন ম্যাচের শুরুটা ভাল না হওয়ায়। কঠিন ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক মিতালি রাজ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। বিস্ফোরক ওপেনার শেফালি বর্মা প্যাভিলিয়নে ফেরেন শূন্য রান করেই। এরপর অবশ্য স্মৃতি মান্ধানা এবং দীপ্তি শর্মা জুটি প্রতিরোধ গড়ে তোলে। স্মৃতি ৫২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। দীপ্তি করেন ৪০ রান।
কিন্তু এরপরই সামান্য সময়ের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি উইকেট হারায় ভারত। ঐতিহাসিক ম্যাচে মিতালি করেন মাত্র ৯ রান। বঙ্গকন্যা রিচা ঘোষ করেন মাত্র ১। ৯৬ রানে দুই উইকেট থেকে একটা সময় ১১৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় ভারত। সেই বিপর্যয় সামাল দেন পূজা ভাস্ত্রকর এবং স্নেহা রানা। সপ্তম উইকেটে জুটিতে দ্রুত ১২২ রান যোগ করেন তাঁরা। স্নেহা মাত্র ৪৮ বলে ৫৩ রান করেন। মাত্র ৫৯ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে নজর অবশ্য কেড়ে নেন পূজা। দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটারের এই প্রতিরোধেই ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪৪ রানের সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছায়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ধীরে সুস্থে করে পাকিস্তান। শুরুতে উইকেট বাঁচিয়ে জুটি বাঁধার ছক কষেছিলেন পাক ওপেনাররা। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেন ভারতের রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়। দলগত ২৮ রানের মাথায় পাক ওপেনার জাভিরা খানকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ৫৩ রানে পাকিস্তানের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। এরপর থেকেই শুরু হয় ভাঙন। একের পর এক পাক ব্যাটার আসেন এবং ফিরে যান। ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে সেভাবে প্রতিরোধই গড়তে পারেনি পাকিস্তান। ফলস্বরূপ তাদের ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৩৭ রানে। বিশ্বকাপ অভিযানের শুরুতেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে এই বড় জয় বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে উওমেন ইন ব্লু’কে।