হেমন্ত সোরেনের গ্রেপ্তারি নিয়ে চর্চা চলছে বিভিন্ন মহলে। এই পরিস্থিতিতে কৃষ্ণনগর থেকে বিজেপিকে ঝাঁঝালো বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, তাঁকে জেলে ঢোকানো হলে তিনি জেল ফুটো করে ফিরে আসবেন।
বর্তমানে জেলা সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কৃষ্ণনগরে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে বিজেপিকে একহাত নেন তিনি। হেমন্ত সোরেনের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গ না তুলেও বুঝিয়ে দেন এভাবে চক্রান্ত করে তাঁকে বিপাকে ফেলা যাবে না। তিনি বলেন, ‘ভোটের আগে জেতার জন্য অনেককে গ্রেপ্তার করছে। আমাকে জেলে পুরলেও আামি জেল ফুটো করে বেরিয়ে আসব!’
দুর্নীতি ইস্যুতেও এদিন মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের তিনি বলেন, ‘সামান্য কিছু লোক দুর্নীতিতে জড়িয়েছে। কিন্তু সব ছেলেমেয়েরা খারাপ নয়। তৃণমূলের সবাই চোর নয়। হাতের পাঁচটা আঙুল সমান হয় না।’ তাঁর কথায়, কোনও রাজনৈতিক দল ধারাবাহিক ভাবে ক্ষমতায় থাকলে কিছু বেনোজল ঢোকে। দল দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সেকথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
‘মহুয়া ফের মানুষের ভোটে জিতবে’
তিনি খাতায়-কলমে এখন আর জনপ্রতিনিধি নন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই তিনি, লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র রইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচির মঞ্চে। যে মঞ্চ থেকেই মমতা আরও এক বার স্পষ্ট বলে দিলেন, ‘তোমরা মহুয়াকে তাড়িয়ে দিতে পারো। কিন্তু মানুষের ভোটে মহুয়া আবার জিতবে।’ অর্থাৎ, আবার কৃষ্ণনগরের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী।
বৃহস্পতিবার নদিয়ার শান্তিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি ছিল। সেখানেই মমতা বলেন, ‘মহুয়াকে ওরা তাড়িয়েছে! কেন? কারণ, মহুয়া মানুষের কথা বলেছিল।’ এর আগে গত নভেম্বরে মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা। যে দিন মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হল, সেই ৮ ডিসেম্বর কার্শিয়ং থেকেও বিজেপির কড়া সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, ‘দল মহুয়ার পাশে আছে। এই ঘটনা থেকে বিজেপির প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আরও এক বার প্রমাণিত হল। মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থন করে কিছু বলার সুযোগই দেওয়া হল না। আমি এর তীব্র বিরোধিতা করছি।’ সেই দিনই তিনি প্রথম পরোক্ষে হলেও জানিয়ে দেন, মহুয়াই কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের টিকিট পাবেন। বৃহস্পতিবার তাতে আরও এক বার নেত্রীর সিলমোহর পড়ল।