কয়েকটা নিয়ম মানলেই এসি-র বিল থাকবে সাধ্যের মধ্যে

গরমে এসি (Air Conditioner) আর এখন লাক্সারি নয়, নেসেসিটি অর্থাৎ প্রয়োজনীয়তা। কিন্তু এসি গরমে স্বস্তি দিলেও, মাসের শেষে বিলের অঙ্ক হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই এই আকাশছোঁয়া বিল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন আপনিও।

বারবার এসি অন-অফ করবেন না

আমাদের অনেকরই অভ্যেস থাকে বারবার এসি অন-অফ করার।এই ঘর ঠান্ডা হয়ে গেছে, এসি বন্ধ করলেন। ৫ মিনিট পর ফের গরম লাগছে চালিয়ে দিলেন।এ তে এসির কম্প্রেসারে চাপ পড়ে। তাই শুরুতে ২০ ডিগ্রিতে এসি চালিয়ে ঘর ঠান্ডা করে তারপর তাপমাত্রা ২৪ এর ওপর রেখে দিন। তাতে ঘর ভীষণ ঠান্ডা থাকবে না, আর এসি বারবার বন্ধ করতে হবে না। তাছাড়া তাপামাত্রা নির্দিষ্ট করা থাকলে, প্রয়োজনমতো এসির কম্প্রেসার নিজে থেকেই কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।

দরজা-জানলা খুলে রাখুন কিছুক্ষণ

এসি চালানোর আগে অন্তত ১৫ মিনিট ঘরের সমস্ত দরজা-জানলা খুলে পাখা  চালিয়ে দিন। এতে ঘরের গুমোট ভাবটা কমবে, ভালভাবে হাওয়া খেলবে। পাশাপাশি এই কাজ করে তারপর দরজা-জানলা বন্ধ করে এসি চালালে কুলিং সিস্টেম দ্রুত কাজ করবে।

টাইমার সেট করে দিন

প্রায় সব এসি মডেলেই রয়েছে টাইমার সেট করে রাখার সুবিধা। টাইমার সেট করে রাখার অর্থ হল, এটি নির্দিষ্ট সময় পরে আপনার এসির স্যুইচ অফ হয়ে যাবে নিজে থেকেই। ঠান্ডা ঘরে আপনি ঘুমিয়ে পড়লেন, অথচ তখন আর এসির দরকার নেই।তাই ভোরের দিক করে টাইমার সেট করে রাখুন। এতে বিদ্যুৎ খরচ সামান্য হলেও কম করা যায়।

এসি সার্ভিসিং

নির্দিষ্ট সময় অন্তর এসি সার্ভিসিং করালে, ধুলো-বালি থাকবে না। তাতে ঠান্ডা তাড়াতাড়ি হবে। মেশিনে চাপ কম পড়বে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − 7 =