চার ধাপের নিরাপত্তার শ্যেনদৃষ্টি এড়িয়ে কিভাবে প্রবেশ সংসদে!

লোকসভায় ঢুকে দুই যুবক ঢুকে যে তাণ্ডব চালালেন তাতে হতভম্ভ সাংসদরা। তাঁদের কাছে প্রবেশের অনুমতিপত্র ছিল! অধিবেশন চলাকালীন লোকসভার চেম্বারে ঢুকে চারদিকে ছড়িয়ে দিয়েছেন হলুদ ধোঁয়া। এই ঘটনার পর লোকসভার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কী ভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ফাঁকি দিয়ে সরাসরি চেম্বারে ঢুকে গেলেন দু’জন? রং বোমা-ই বা তাঁদের কাছে থেকে গেল কী ভাবে?

নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরনো ভবনের চেয়েও জোরালো। মোট চারটি ধাপে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ রাখা হয়েছে এই ভবনটিতে। সেই চার ধাপ পেরিয়েই লোকসভা কক্ষে ঢোকেন হানাদারেরা। কিন্তু চার ধাপের কোথাও রং বোমার অস্তিত্ব ধরা পড়েনি কেন? উঠছে প্রশ্ন।  দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট এবং সিআরপিএফ জওয়ানের একটি দল সংসদের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন। এ ছাড়াও বেশ কিছু নিরাপত্তা এজেন্সি থাকে ওই চত্বরে। থাকে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স এবং দমকল।

দর্শনার্থী হিসাবে যাঁরা সংসদে প্রবেশ করেন, নিরাপত্তারক্ষীরা প্রথমে হাত দিয়ে তাঁদের কাছে কোনও আপত্তিকর বস্তু আছে কি না, দেখে নেন। মোবাইল ফোন, ব্যাগ, পেন, জলের বোতল এমনকী কয়েন নিয়েও ঢোকা যায় না সংসদের গ্যালারিতে। কারও কাছে তেমন কিছু আছে কি না, যাচাই করে দেখেন রক্ষীরা। পরিচয়পত্র হিসাবে আধার কার্ড দেখিয়ে ঢুকতে হয় ভিতরে।

সংসদে যাঁরা ঢোকেন, তাঁদের বেশ কিছু নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। মোট তিনটি স্ক্যানার পেরিয়ে সংসদের ভিতরে যাওয়ার ছাড়পত্র মেলে। ওই স্ক্যানারের মাধ্যমে শরীরের সর্বাংশ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এই পদ্ধতিগুলি সম্পন্ন হওয়ার পরেই কেউ ভিতরে প্রবেশের অনুমতিপত্র পেতে পারেন। যে কোনও ব্যক্তিকে লোকসভায় ঢুকতে দেওয়া হয় না। আগে তাঁদের নাম, পরিচয় খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়। কোনও না কোনও সাংসদের সুপারিশ ছাড়া ভিতরে ঢোকা যায় না।

কিন্তু তিনটি স্ক্যানারের শ্যেনদৃষ্টি কী ভাবে তাঁরা এড়িয়ে গেলেন, কেন রং বোমাগুলি স্ক্যানারে ধরা পড়ল না, তা স্পষ্ট নয় এখনও। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 4 =