একদিকে অযোধ্যায় বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে অনেক মানুষের উন্মাদনা। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে কলকাতার রাজপথে সংহতি মিছিলের আয়োজন। দুই হাই ভোল্টেজ অনুষ্ঠানকে ঘিরে টানটান গোটা রাজ্য। দুই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজ্যে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না তৈরি হয় তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য পুলিশ। শুক্রবার বিকালে সব জেলার পুলিশসুপার এবং পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক রাজীব কুমার।
সেখানে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে সোমবার সকাল থেকে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রেল স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড-সহ জনবহুল এলাকা গুলিতেও বিশেষ পুলিশি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে পুলিশকে এলাকায় টহল দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় বাহিনী মোতায়েন করার কথা বলা হয়েছে। রামমন্দিরের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পুজোর পাশাপাশি মিছিলের আয়োজন করেছে একাধিক সংগঠন। কাল সব মিলিয়ে ৩৬টিরও বেশি মিছিল হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। সেই সমস্ত মিছিল এবং পুজো ঘিরে যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
কলকাতায় প্রায় চার হাজার অতিরিক্ত পুলিশকর্মীকে রাস্তায় নামানো হচ্ছে। এ ছাড়া, প্রতিটি ডিভিশনেও অতিরিক্ত পুলিশকর্মীদের মজুত রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। থানাগুলিতেও যাতে পর্যাপ্ত বাহিনী থাকে, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি মিছিলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে থানাগুলিকে। জানা গিয়েছে, বন্দর এলাকা-সহ শহরের বেশ কয়েকটি জায়গা আলাদা ভাবে চিহ্নিত করে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।