৯ বলে তখন দরকার আর ১৫ রান। মাঝপথ থেকে হঠাৎ ঘুরে যাওয়া ম্যাচে তখন পাল্লা ভারী গুজরাট টাইটান্সের। ঠিক সেই সময় ঘটল অঘটন। রশিদ খানকে প্যালিভিয়নে ফেরালেন ব্রাভো। পরের বলে তুলে নিলেন জোসেফের উইকেট। আর সেখানেই নতুন করে নাটকীয় মোড় নিল সুপার সানডের মেগা লড়াই। তবে শেষ ওভারের ফ্রি হিট ফের ১৮০ ডিগ্রি পালটে দিল খেলার মেজাজ। পরতে পরতে সাসপেন্স তৈরি হওয়া ম্যাচে শেষ হাসি হাসল গুজরাটই।
ম্যাচ শুরুর আগে বিন্দুমাত্র টের পাওয়া যায়নি। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে টস করতে এসে রশিদ খান জানালেন, তিনিই আজ অধিনায়ক। অসুস্থতার কারণে খেলতে পারবেন না হার্দিক পাণ্ডিয়া। তাঁর পরিবর্তে গুজরাট দলে ডাক পেয়েছেন আলজারি জোসেফ! এমন আপডেটে নিঃসন্দেহে মনে মনে খুশিই হয়েছিলেন চেন্নাই ভক্তরা। যদিও সে হাসি শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা হল না। কারণ হার্দিকের অনুপস্থিতিতেও মিলারের অনবদ্য ব্যাটিং ও রশিদের নেতৃত্ব জিতিয়ে দিল গুজরাটকে। আরও একটা ম্যাচ হেরে প্লে অফের পথ কঠিনতর হল চেন্নাইয়ের।
এদিন পুণেতে ব্যাট হাতে শুরুতেই টাইটান্স বোলারদের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। উথাপ্পা, মঈন আলিরা দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরলেও দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন চেন্নাইয়ের এই ওপেনার। ৪৮ বলে ঋতুরাজের ৭৩ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি ছক্কা ও সমসংখ্যক বাউন্ডারি দিয়ে। ৩২ রানে চেন্নাই দু’উইকেট খোয়ানোর পর মিডল অর্ডারের স্তম্ভ হয়ে ওঠেন অম্বতি রায়ডু। ঋতুরাজের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেন। তবে স্কোরবোর্ডে যত রানই থাকুক না কেন, গুজরাট ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসে এতটুকু চিড় ধরেনি। এমনকী মাত্র ১৬ রানে যখন তিন-তিনটে মূল্যবান উইকেট চলে গিয়েছে, তখনও কীভাবে ম্যাচ বের করা যায়, সেই পাঠই দিয়ে গেলেন ডেভিড মিলার।
চেন্নাইয়ের ‘কিলারে’র ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন মিলার। চেন্নাই বোলারদের দুরমুশ করে ৯৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। ২১ বলে ৪০ রান করে তাঁর যোগ্য সঙ্গ দিলেন ক্যাপ্টেন রশিদ। ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষস্থানটি ধরে রাখল আইপিএলের নয়া সেনসেশন গুজরাট। পারফরম্যান্সে এই ধারা বজায় থাকলে হার্দিকদের চ্যাম্পিয়ন হওয়া আটকায়, সাধ্যি কার!