বেজায় গরম পড়েছে। কিন্তু তাতে কী! অফিস, কাজকর্ম, কোনটা তো বন্ধ হবে না। ধরুন নতুন বিয়ের পর যদি ‘কপোত-কপোতী’ কোনও আত্মীয়ের বাড়ি আসে, তবে তার তোয়াজে খামতি তো রাখা যায় না, তাই না! তাছাড়া, বাইরে থাকা আত্মীয় বহু দিন পর হয়তো বাড়ি ফিরেছেন, জমিয়ে আড্ডা না দিলে হয়।
কিন্তু এই গরমে খেতে দেবেন কী! সেটা নিয়েই ভাবনা?
রইল টিপস-
রকমারি শরবত-
গরমে তেতে পুড়ে এলে জলটাই এগিয়ে দিতে হয়। শুরুতে আম পোড়ার শরবত, গন্ধরাজ লেবুর ঘোল বা গন্ধরাজ লস্যি এর যে কোনও একটা দিতে পারেন। আর যদি কারও মধুমেহ থাকে, তাহলে নোনতা ছাঁস দিন শুরুতেই।
মিষ্টি-
সকালে বা দুপুরে যদি বাঙালি বাড়িতে কেউ আসেন, তাহলে মিষ্টি মুখ তো করতেই হবে।মিষ্টির পাতে রাখুন রসমালাই বা লর্ড চমচম গোছের কিছু। ঠান্ডা রসমালাই জবরদস্ত হবে। তার সঙ্গে স্মাইলি ভেজে দিন বা রাখতে পারেন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। চাইলে কোনও চিকেন স্ন্যাক্স রাখতে পারেন স্টার্টারে।
মেন কোর্স (আমিষ)–
বাঙালি বাড়ির দুপুরের মেনুতে গরমের দিনে সাদা ভাত রাখাটাই ভাল।সঙ্গে শুক্তো। স্বাদ বদলাতে ভাতের সঙ্গে রাখুন আম দিয়ে টকের ডাল। সঙ্গে আলু পোস্ত বা নিরামিষ কোনও সবজি। টকের ডালের সঙ্গে তোপসে ফ্রাই, মৌরলা মাছ বা যে কোনও মাছ ভাজা বা মাছের ডিম ভাজা কোনও একটা রাখুন। সঙ্গে রাখুন অবশ্যই রায়তা।
গরমের দিন তাই রান্নায় বেশি তেল-মশলাটা বাদ দিন। মাছের পদে বেছে নিতে পারেন ভেটকি পাতুড়ি কিম্বা পাবদা, পার্শের ঝাল অথবা ভাপা।এর সঙ্গে চিকেন হলে বানিয়ে ফেলুন দই চিকেন নয়তো কাঁচা লঙ্কা মুরগি। দু’টি রান্নাতেই তেলের ব্যবহার বেশ কম পাশপাশি সুস্বাদুও। মটন মেনুতে রাখলে বরং কচি পাঁঠার ঝোলেই ভরসা রাখুন।আর এর সঙ্গে চাটনি ছাড়া জমে না। গরমের দিনে কাঁচা আমের অম্বল কিন্তু বেশ লাগে।এছাড়া আনারসের চাটনিও বানাতে পারেন।
শেষপাতে রাখুন আম দই, ভাপা দই, কিম্বা টক দই। পছন্দের ফ্লেভারের আইসক্রিম।
মেন কোর্স (নিরামিষ) –
নিরামিষে সাদা ভাতের সঙ্গে রাখতে পারেন শুক্তো। তারপরের পাতে মুগ ডাল। চাইলে টক ডাল।সঙ্গে পোস্ত। ডাল ভাতের সঙ্গে ভাজায় রাখুন পনির পসিন্দা, বড়িভাজা, ঝুড়ি আলু ভাজা।সঙ্গে রায়তা। বানাতে পারেন কাঁচা মিঠে আমের পাতুড়ি, মোচা পাতুড়িও।স্বাদ বদলাতে করতে পারেন মটর ডালের চাপড় ঘণ্ট।সবজির জায়গায় অবশ্যই রাখুন পছন্দের কোনও একটা কোপ্তা। আর ওই পাঁঠার বদলে গাছ পাঁঠা মানে এঁচোড়।সঙ্গে চাটনি, দই, আইসক্রিম শেষ পাতে রাখতেই হবে।