পিন্দারে পলাশের বন, পালাবো পালাবো মন…
মন কি পালানোর জন্য ছটফট করছে? তাহলে এই দোলে বরং বেরিয়ে পড়ুন অশোক-পলাশের রাঙা হাসি দেখতে।বসন্ত। মানেই সেজে ওঠা প্রকৃতি, বাতাসে প্রেমের গন্ধ। প্রকৃতির রং আর গন্ধ যদি চেটেপুটে নিতে চান, দেখতে চান পলাশের আগুন রং তবে চলুন…. কোথায়?
শান্তিনিকেতন (Shantinekatan)
শান্তিনিকেতন মানেই কবিগুরুর স্মৃতিমাখা শান্তির নীড়। শান্তিনিকেতন মানেই দোল উত্সব প্রেম ও প্রকৃতি। দোলের ছুটিতে চিরপরিচিত ভাললাগার এ জায়গা তো রয়েছেই।নিয়মের কড়াকড়িতে যদি বিশ্বভারতীর বসন্ত উত্সবে অংশ নিতে না-ও পারেন, হারিয়ে যান প্রকৃতির মাঝে।
পুরুলিয়া (Purulia)
ফাগুন হাওয়ায় যদি পাহাড়, সবুজ, জঙ্গল, প্রাচীনত্বের সন্ধান চান তাহলে কিন্তু আপনি বেছে নিতেই পারেন পুরুলিয়ার বড়ন্তি, গড় পঞ্চকোট, অযোধ্যা পাহাড়ের মতো জায়গা। পলাশের (Palash Flower) চোখ ধাঁধানো রঙে কিন্তু শান্তিনিকেতনকে অনায়াসে টেক্কা দিতে পারে এই জায়গাগুলি। পাহাড়ের প্রতি বাঁকে পলাশ তার রূপ রং, গন্ধ ছড়িয়ে দেয়। ড্যাম, প্রাচীন মন্দির, ঝরনা নিয়ে সাজানো এই জায়গাগুলোর রূপ প্রত্যক্ষ না করলে, অনুভব না করলে, একটা বড় ফাঁক থেকে যেতে পারে আপনার জীবনে।
ঝাড়গ্রাম (Jhargram)
বেলপাহাড়ি নামটা শুনলেই একসময় আতঙ্ক চেপে ধরত। ও যে মাওবাদীদের ডেরা। আতঙ্ক থাকলেও প্রকৃতি কিন্তু প্রতি বছর সেজে উঠত প্রকৃতির নিয়মে। শুধু বহু বছর সেই রূপ শহুরে মানুষের অলক্ষে থেকে গিয়েছিল। বেলপাহাড়ি আজ আর মাও-আতঙ্কের গ্রাম নয়, বরং প্রকৃতির খোঁজে ভ্রমণপিপাসুর ছোটেন সেখানে। মার্চের সময় থেকেই বেলপাহাড়িও হয়ে ওঠে লালে লাল। সেজে ওঠে পলাশের বন। চেনা ছকের বাইরে যেতে চাইলে এবার ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে নিন ঝাড়গ্রামের উদ্দেশে।
গিরিডি-(Giridi)
শিমুলতলা, গিরিডি।এই দুই জায়গা নিয়ে কত গল্প! বাংলা সাহিত্যে বার বার ধরা দিয়েছে পাহাড়, ঝরনায় ঘেরা গিরিডি। শিমূলতলার ভূতের গল্প। উস্রীর (Ushri falls) বয়ে চলা। পলাশ ফুলের অন্যতম স্বর্গরাজ্য কিন্তু ঝাড়খণ্ড।একসময় লোকে এই জায়গাগুলোতে যেতেন চেঞ্জে। পাহাড়ি দূষণমুক্ত জল হাওয়ায় শরীর চাঙ্গা করতে। এখন আর সেভাবে লোকজন যান না। তবে বাঙালির কত স্মৃতি জড়িয়ে এখানে। দোল, হোলি আর রবিবার মিলিয়ে তিন দিনের ছুটির সুযোগটা কাজে লাগিয়ে এবার এই জায়গাগুলোও ঘুরে নিতে পারেন।
রাঁচি- (Ranchi)
পাহাড়ি রাস্তার পাকদণ্ডী, সেই পাকদণ্ডীতে আপনাকে স্বাগত জানাবে বসন্তের পলাশ।সেই রূপে ডুব দিতে চাইলে পত্রাতু ভ্যালি আপনি গন্তব্য হিসাবে বেছে নিতেই পারেন। পাহাড়ি পথ ধরে পৌঁছে যাবেন বিশাল, টলটলে এক জলাশয়ের ধারে। বোটিং, ঘোরাঘুরি করে দিন কেটে যাবে বেশ। চাইলে রাঁচির অন্যান্য জায়গা হুড্রু, জোনা ফলস, রাজরাপ্পা মন্দিরও ঘুরে আসতে পারেন।