জামিনে একবছর পর সংশোধনাগার থেকে মুক্ত তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: অতি সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে জামিন মিলতেই ১ বছর ১ মাস ৮ দিন পর নিজের জেলায় ফিরলেন সিপিএম নেতা ও তালডাংরার প্রাক্তন বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র। বুধবারই বর্ধমান সংশোধনাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। ওখান থেকে তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা দপ্তরে। সেখানে দলের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বাঁকুড়া জেলা সিপিএম দপ্তরে আসেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৯ জুন তালডাংরার রাজপুর গ্রামে মদন খাঁ নামে এক তৃণমূল কর্মী খুন হন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় নাম জড়ায় তালডাংরার তৎকালীন বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র সহ ২১ জনের। পরে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে ও প্রত্যেকেই জামিনে মুক্ত হন। ১২ বছর মামলা চলার পর ১৮ জনকে মুক্তি দিলেও, বিধানগরের এম.পি-এম.এল.এ আদালত ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রাক্তন বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র সহ মোট তিন জনকে দোষীসাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। সেই সময় থেকে সিপিএম নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র জেলবন্দি ছিলেন। পরে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করে তালডাংরার তিনবারের বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্রের।
এদিন বাঁকুড়া শহরের ßুñল ডাঙায় দলের জেলা দপ্তরে বসে সিপিএম নেতা মনোরঞ্জন পাত্র বলেন, ‘এখনও ওই ‘সাজানো’ মামলা থেকে মুক্তি পাইনি। জামিন পেয়েছি। এখন জেলবন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে ভালো লাগছে।’ তাঁকে জামিন করানো ও আইনি লড়াইয়ে তাঁর দল সবসময় পাশে ছিল বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 + eight =