ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল…
দোল মানেই রংয়ের দিন।বসন্ত মানেই রঙিন হয়ে ওঠা গাছপালা, ফুলে উড়ে বেড়ানো প্রজাপতি। আর রঙে রঙে আকাশ রঙিন হওয়া।
এমন দিনে রং না মাখলে কী চলে? কিন্তু রং মানেই যে ক্ষতিকর রাসায়নিকের ভয়। বাবা-মায়ের ভয়, বাজারচলতি রং গায়ে লাগলে বাচ্চার যদি কিছু হয়! সে ভয় অমূলক নয়। কিন্তু প্রকৃতি মা যে সাজিয়ে রেখেছ তার রংয়ের সম্ভার। সেই রঙে হুটোপুটি করলে কিন্তু কোনও বারণ থাকবে না।
ক্ষতিকর কেমিক্যালের প্রভাব সম্পর্কে এখন অনেকেই আমরা অনেকটা সচেতন। শুধু বড়রাও, রং খেলতে গিয়ে মাথায় রাখছেন ত্বক ও চুলের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়। তাই ভেষজ রং। বাজার থেকে কেনারও কোনও দরকার নেই। সবজি থেকে ফুল, পাতা ফুটিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন রকমারি রং। আর রং খেলুন নির্ভয়ে।
কীভাবে বানাবেন রং?
লালের জন্য ব্যবহার করুন গোলাপ বা জবা ফুলের পাপড়ি।ব্যবহার করতে পারেন বিট। হলুদ ও কমলার জন্য গাঁদা। এছাড়া গুঁড়ো হলুদ, চন্দন পাওডার ব্যবহার করতে পারেন। নীল রংয়ের জন্য অপরাজিতা। সবুজের জন্য নিমপাতা।
তরল রং
যে কোনও ফুলের পাপড়ি ধুয়ে ভাল করে জলে ফুটিয়ে নিলেই সেই রং বেরিয়ে যাবে। বাচ্চারা সাধারণত জল দিয়ে রং গুলে খেলে। তাদের জন্য এটাই রেখে দিন।
আবির
তরল রং থেকে আবির বানাতে চাইলে অ্যারোরুট ও কনস্টার্চ নিন কয়েক চামচ। তারপর যে রংগুলো চাইছেন আলাদা আলাদা বাটিতে ঢেলে দিন। অ্যারারুট ও কর্নস্টার্চের সঙ্গে ফুল বা সবজি ফোটানো সেই রংগুলো ভাল করে মিশিয়ে নিন। সুন্দর গন্ধের জন্য কয়েক ফোঁটা আতর বা সুগন্ধি তাতে মিশিয়ে নিন। একটি চওড়া পাত্রে ঢেলে চড়া রোদে শুকিয়ে নিন একদিন।শুকিয়ে গেলে ভাল করে গুঁড়ো করে নিলেই ভেষজ আবির তৈরি। আর এই রংয়ে রং খেললে প্রকৃতির গুণে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে সুন্দর। রং তোলার জন্য কোনও যুদ্ধও করতে হবে না।