রাঁচিতে খাদের কিনারা থেকে ফিরল ইংল্যান্ড, ডিআরএস খরচের খেসারত দিল ভারত!

দিনের প্রথম সেশনে পাঁচ উইকেট। প্রথম ঘণ্টাতেই তিন উইকেট অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা আকাশ দীপের। দ্বিতীয় সেশনে কোনও উইকেট নিতে পারেনি ভারত। লাঞ্চের পর থেকে চা বিরতি, এই সেশন জো রুট ও বেন ফোকসের দাপট। শেষ সেশনে দলকে ম্যাচে ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা করেন সিরাজ-আকাশ দীপরা। রিভার্স সুইং করাচ্ছিলেন দু-জনই। সিরাজ দুই উইকেট নিতেই ফের স্বস্তি ফিরেছিল। যদিও রুট-বলে খাদের কিনারা থেকে বেরোল ইংল্যান্ড।

ভারতের মাটিতে এক যুগ পর টেস্ট সিরিজ জিততে হলে জো রুটের ব্যাটে যে রান চাই, এ আর নতুন কী! বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটার। যদিও ইংল্যান্ডের তথাকথিত বাজবল স্টাইল মানতে গিয়ে যেন বাড়তি চাপে ছিলেন। এই সিরিজে রান পাচ্ছিলেন না। ভারতের মাটিতে বাজবল নিয়ে না ভেবে ধৈর্যের খেলায় যে সাফল্যের সুযোগ বেশি, অবশেষে যেন উপলব্ধি জো রুটের। দল বিপদে পড়তেই সনাতন স্টাইলে ফিরলেন। ২১৯ বলে সেঞ্চুরিতে জো রুট। কেরিয়ারের ৩১ নম্বর এবং ভারতের বিরুদ্ধে দশম সেঞ্চুরি।

মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ১১২-৫ থেকে দিনের শেষে ৩০২-৭ স্কোরে শেষ করল ইংল্যান্ড। ১০৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। মার্ক উডের পরিবর্তে এই ম্যাচে খেলা ওলি রবিনসনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৫৭ রান যোগ করেছেন। এই জুটি হয়তো ভাঙতে পারত ভারত। রবীন্দ্র জাডেজার বোলিংয়ে রবিনসনের বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের আবেদন হয়। অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতের। ফলে রিভিউ নেওয়া যায়নি। রিপ্লেতে দেখা যায়, ডিআরএস নিলে এই জুটি ভাঙত। হয়তো স্কোর বোর্ডের চিত্রটা আরও বদলে যেতে পারত। টি-ব্রেকের মধ্যেই ৩টি ডিআরএস খরচের খেসারত দিল ভারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 11 =