পেট্রোপণ্য মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাজারে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, সবজি সহ নানান উপকরণের দাম নিয়ে কালোবাজারি করা হচ্ছে কিনা, সে ব্যাপারে তদারকি চালানো রাজ্য এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্তারা । সোমবার সকালে মালদা শহরের বেশ কয়েকটি বাজারে পরিদর্শন করেন রাজ্য এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের একটি প্রতিনিধিদল । ঈদের আগে বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বেচাকেনায় বিক্রেতারা কি রকম দর ক্রেতাদের কাছ থেকে নিচ্ছেন। এছাড়াও কোনওরকম খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কালোবাজারি করা হচ্ছে কি না, সেইসব বিষয় এদিন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্তারা খতিয়ে দেখেন। তবে মালদায় নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কোথাও কোনো রকম কালোবাজারি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তদারকিতে আশা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কর্তারা । তাঁরা জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে মালদায় সবজি সহ বেশ কিছু খাদ্য সামগ্রীর দাম অনেক কম রয়েছে। ফলে এনিয়ে ক্রেতাদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
উল্লেখ্য, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব জেলার বাজারে কতখানি পড়ছে তা খতিয়ে দেখতে রবিবার মালদায় আসে কলকাতা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। এদিন সকাল থেকে জেলার প্রতিনিধিদের শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে জিনিসপত্রের দাম খতিয়ে দেখেন তাঁরা।
প্রথমে মালদা শহরের নেতাজি পুরবাজার, পরে চিত্তরঞ্জন পুরবাজার, সদরঘাট বাজার, মকদুমপুর বাজার ও ইংরেজবাজার নিয়ন্ত্রিত বাজারে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ওই প্রতিনিধি দল।
রাজ্য এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ইন্সপেকটর শেখ হাবিবুল হাসান বলেন, “কলকাতা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের চারজনের দল আমরা মালদা জেলায় এসেছি। জেলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে আমরা মালদার নেতাজি, চিত্তররঞ্জন, মকদুমপুর সহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরেছি। প্রতিটি বাজারের পাইকারি ও খুচরো বাজারমূল্য ঠিক রয়েছে কিনা তা আমরা দেখছি। পেট্রোপণ্যের লাগাতার দাম বৃদ্ধির জন্য কিছু জায়গায় দাম বেড়েছে। তবে এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। অনেকেই পণ্য মজুত করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে মালদায় এধরণের কোনও ঘটনা এখনও আমাদের নজরে আসেনি। কলকাতার তুলনায় এখানে জিনিসপত্রের দাম অনেক কম রয়েছে। সারাবছর আমাদের এই বিষয়গুলি নিয়ে নজরদারি চলে।