লোকসভা ভোটের আগে অস্বস্তিতে তৃণমূল। এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দপ্তরে ডাক পড়ল কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের। বিদেশি মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে আগেই, এবার ডাক এল ইডির তরফ থেকে। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন, পুরোদমে প্রচার শুরু করেছেন প্রার্থীরা, তারই মধ্যে ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয় মহুয়াকে। ইডি সূত্রে খবর, শুধু মহুয়া নয়, ডাক পড়েছে ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিরও।
এদিকে মহুয়া মৈত্রের কেন্দ্র অর্থাৎ কৃষ্ণনগর থেকেই লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩১ মার্চ ওই কেন্দ্রে কর্মসূচিও নির্ধারিত হয়েছে ইতিমধ্যে। এদিকে তারই ঠিক আগে আগামী ২৮ মার্চ অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই হাজিরা দিতে বলা হয়েছে মহুয়াকে।
উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রে মহুয়ার বিপক্ষে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন, কৃষ্ণনগরের ‘রানি মা’ তথা অমৃতা রায়। এর আগে গত ১১ মার্চ মহুয়াকে হাজিরার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় হাজিরা দেওয়ার জন্য কয়েক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন মহুয়া। এবার ২৮ মার্চ তলব করা হল। উল্লেখ্য, দর্শন হিরানন্দানি বিদেশ থেকেই হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিলেন যে মহুয়া তাঁর কাছ থেকে টাকা ও দামী উপহার গ্রহণ করেছিলেন। এই অভিযোগের জেরেই সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল মহুয়া মৈত্রকে। এথিক্স কমিটির পরামর্শেই বহিষ্কারের নির্দেশ দেন স্পিকার। তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে আবারও প্রার্থী হবেন মহুয়া। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায়, কৃষ্ণনগর থেকেই টিকিট পেয়েছেন মহুয়া। প্রচারের মধ্যেই গত শনিবার কলকাতায় মহুয়ার বাবার ফ্ল্যাট, করিমপুরে মহুয়ার বাড়ি ও তাঁর কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তবে, তৃণমূলের দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এই কাজ করানো হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফ থেকে বিজেপিকে বিদ্ধ করে জানানো হয়, ’মোদি বুঝতে পারছেন যে বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তাই এসব করানো হচ্ছে।’