অন্যের লিপস্টিক, কাজল ব্যবহার করেন নাকি! খুব সাবধান

তোর লিপস্টিকের রংটা তো দারুণ! আমি লাগাব। এই তোর ব্লু আইলাইনারটা দিস তো একবার। এই আইশ্যাডোটা তো হেব্বি। এটাই আমার ড্রেসের সঙ্গে যাবে। আমি নিলাম।

বন্ধু, সহকর্মী, আত্মীয়, পরিবার। কসমেটিক্স, মেকআপ কম, বেশি আমরা শেয়ার করেই থাকি। কখনও ইচ্ছেয়, কখনও আবার না বলতে পারি না বলে।কখনও আবার যিনি নিজে যেচে অন্যের লিপস্টিক বা মেকআপ কিট চাইছেন তিনি নিজেও জানেন না, কত বড় ভুল করছেন। কারণ, অনেকেই জানেন না এভাবে একজনের প্রসাধনী অন্যজনের ব্যবহার করায় বাড়তে পারে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি।

লিপস্টিক- আমরা প্রায়ই এর, ওর লিপস্টিক ব্যবহার করি। বিয়েবাড়ি বা হোক বা অফিস পার্টি। কিন্তু এভাবে লিপস্টিক শেয়ার করা মানে বিপদ ডেকে আনা। কার শরীরে কোন রোগ আছে, আমরা জানি না। হয়তো সে নিজেই জানে না। এভাবে একটা লিপস্টিক অনেকে ব্যবহার করলে নানা ধরনের রোগ সংক্রমণ হতে পারে।

কাজল, আইলাইনার-

কাজল, আইলাইনার, মাস্করা, আইশ্যাডো প্রায় প্রত্যেকে ব্যবহার করেন। কিন্তু চোখ হল সংবেদনশীল একটি অঙ্গ। চোখে কোনও সংক্রমণ বা ত্বকে সংক্রমণ থাকলে, তা কিন্তু এভাবে প্রসাধনী শেয়ার করার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষত যাঁরা কনট্যাক্স লেন্স ব্যবহার করেন, তাঁদের বাড়তি সতর্কতা দরকার।

ত্বকে সংক্রমণ- অনেক সময় অন্যের মেকআপ স্টিক, কনসিলার, পাওডার আমরা ব্যবহার করি। এটা একেবারেই ঠিক নয়। ত্বকে সমস্যা, সংক্রমণ থাকতেই পারে। তাছাড়া মেকআপ দীর্ঘক্ষণ খোলা রাখা, এর ওর ব্যবহারে বাইরে থেকে ব্যাকটিরিয়া চলে আসতে পারে। সেইগুলো একাধিক জন ব্যবহার করলে, ত্বকে সমস্যা, ব়্যাশ দেখা দিতে পারে।

মেকআপ ব্রাশ-মেকআপ ব্রাশ, আইলাইনার ব্রাশ নির্দিষ্ট সময় অন্তর সাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে ভাল করে রোদে বা ড্রায়ারে শুকিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। তা না করে, সেই ব্রাশ একাধিক জন ব্যবহার করলে, ত্বকের সমস্যার পাশাপাশি শরীরেও ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ হওয়া খুব আশ্চর্য নয়।

লিপস্টিক, মেকআপ টেস্টার-দোকানে গিয়ে লিপস্টিক, মেকআপ বাছার আগে আমরা টেস্টার প্রোডাক্ট লাগিয়ে দেখে নিই টোনটা ম্যাচ করছে কিনা বা লিপস্টিকের রং কেমন আসছে। এক্ষেত্রে একই টেস্টার যেহেতু অসংখ্য মানুষ ব্যবহার করছেন, তাই সতর্ক হন। টেস্টিং-এর পণ্য মুখে কখনও ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে হাতে করুন। তারপর স্যানিটাইজার দিয়ে ভাল করে মুছে নিন।

বছর দুই ধরে বিশ্ববাসী পরিচিত হয়েছে নোভেল করোনা ভাইরাসের সঙ্গে। এই ভাইরাস আমাদের শিখিয়েছে ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলতে। করেনার ভ্যাকসিন এলেও, তা কিন্তু বিশ্ব থেকে চলে যায়নি। তাই প্রতি মুহূর্তে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। করোনা ছাড়াও অন্য রোগ সংক্রমণ এড়াতে প্রসাধনী বা মেকআপ এবার ব্যক্তিগতভাবেই ব্যবহার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + ten =