বিশ্বজিৎ নাথ, ব্যারাকপুর :- স্কেটিং করে দক্ষিণেশ্বর ভবতারিণী মন্দির থেকে নেপালের কাঠমান্ডু পশুপতিনাথ মন্দিরে পাড়ি দিয়েছিলেন শ্যামনগর কাউগাছি চন্ডীতলার বাসিন্দা দীপঙ্কর দে। গত ২২ এপ্রিল সকাল ৫-৪৫ মিনিট নাগাদ রওনা দিয়ে ২৯ এপ্রিল বেলা ১২-৪০ মিনিট নাগাদ নেপালে পৌঁছে ছিলেন ৪৭ বছরের দীপঙ্কর। স্কেটিংয়ের মাধ্যমে নেপাল পাড়ি দেওয়ার জন্য তাঁর নাম ঠাঁই পেয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বুক অফ রেকর্ডসে। এখন গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে নাম ওঠার অপেক্ষায় স্কেটিং পারদর্শী শ্যামনগরের দীপঙ্কর।
জানা গিয়েছে, দীপঙ্করের বাবা দুলাল চন্দ্র দে প্রাক্তন সেনা কর্মী, মা কল্পনা দে গৃহবধূ। দে দম্পতির একমাত্র সন্তান দীপঙ্কর। তিনি পেশায় ক্যারাটে প্রশিক্ষক। কিন্তু দুবছর লকডাউনে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ বন্ধ ছিল। সেইসময় স্কেটিং খুব ভালো করে রপ্ত করেছিলেন দীপঙ্কর। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মাত্র আড়াই দিনে স্কেটিং করে তিনি শ্যামনগর থেকে পুরীর জগন্নাথ মন্দির পৌঁছেছিলেন। তারপর নেপাল। নেপালে যাওয়া প্রসঙ্গে দীপঙ্কর জানালেন, আগে নেপাল-ভারতের সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু চীনের জন্য দুদেশের মধ্যে কিছুটা সম্পর্কে চিড় ধরে। নেপাল ও ভারতের সম্পর্ক সুদৃঢ় করতেই দেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে কাঠমান্ডু পাড়ি দিয়েছিলাম।
দীপঙ্করের দাবি, ছয়দিনে নেপাল পৌঁছনোর লক্ষ্য নিয়ে রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের রাস্তাঘাট খারাপের জন্য আরও দুদিন বেশি সময় লেগে গেল। পরবর্তী গন্তব্যস্থল প্রসঙ্গে তিনি বললেন, স্কেটিংয়ের মাধ্যমে শ্যামনগর থেকে ভুটান, কলকাতা থেকে বাংলাদেশ, শ্যামনগর থেকে সিকিম এবং কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী যেতে চাই। ছেলের সাফল্য প্রসঙ্গে কল্পনা দেবী বলেন, একমাত্র সন্তান খুব টেনশনে ছিলাম। তবে নেপাল ঘুরে ছেলে বাড়ি ফেরায় তারা ভীষন খুশি।