রঞ্জি ট্রফিতে কেরলের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রথম দিনই অস্বস্তিতে বাংলা। ফিরেছেন তারকা ক্রিকেটাররা। ইংল্যান্ড এ দলের বিরুদ্ধে ভারত এ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। এ দলে ছিলেন বাংলার পেসার আকাশ দীপও। দু-জনেই বাংলা দলে ফিরেছেন। তেমনই দীর্ঘ দিন পর অবশেষে দলে ফিরেছেন বাঁ হাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ। তাতেও অবশ্য স্বস্তি ফিরল না বাংলা শিবিরে।
বাংলার বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাটিং নেন কেরল অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। সপ্তম ওভারে বাংলার প্রথম সাফল্য। রোহন কুন্নুমলকে ফেরান সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। তিনে নামা রোহন প্রেমও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। তাঁর উইকেট নেন আকাশ দীপ। অভিজ্ঞ ব্যাটার জলজ সাক্সেনা সেট হয়েছিলেন। তাঁকে ফিরিয়ে বাংলা শিবিরে স্বস্তি আসে। ৪০ রান করেন জলজ।
বাংলা শিবিরে বড় বাধা ছিলেন কেরল অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। প্রত্যাবর্তন ম্যাচে সঞ্জু স্যামসনের বড় উইকেট শাহবাজের ঝুলিতে। ১১২ রানেই প্রতিপক্ষর ৪ উইকেট তুলে নেওয়ায় উচ্ছ্বসিত ছিল বাংলা শিবির। যদিও সেই উচ্ছ্বাস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সৌজন্যে সচিন বেবি ও অক্ষয় চন্দ্রণ জুটি। ১১২-৪ থেকে প্রথম দিনের শেষে কেরল ২৬৫-৪। সচিন বেবি ১১০ রানে ক্রিজে রয়েছেন। উল্টোদিকে, অক্ষয় চন্দ্রণ অপরাজিত ৭৬ রানে।
শনিবার দ্রুত এই জুটি ভাঙতে না পারলে বাংলার মাথাব্যথা বাড়বে বলাই যায়। ঘরের মাঠে গত ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কোনও পয়েন্ট পায়নি বাংলা। নকআউটের পথ এমনিতেই কঠিন। সঞ্জু স্যামসনদের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে পয়েন্ট নিতে হলে দ্রুত প্রতিপক্ষকে অলআউট করতে হবে বাংলার। এই ম্যাচে বাংলার জার্সিতে অভিষেক হয় রনজ্যোৎ খাইরার। মাত্র ৩ ওভারই বোলিং করানো হয়েছে তাঁকে। দিয়েছেন ১৬ রান।