চার দলের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রথম দুইয়ে কে থাকবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। পঞ্জাব কিংস জিতলে এক পা এগিয়ে থাকত। সেটা আর হল না। প্লে-অফে যাওয়া চার দলের কাছেই এখন টপ টু-র দরজা খোলা। মরসুমের শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ধরমশালার রি-ম্যাচ বিশাল স্কোর তাড়া করে ৬ উইকেটে পঞ্জাব কিংসকে হারাল দিল্লি। বোর্ডে ২০০ প্লাস রান করেও হার। মানসিক ভাবেও চাপে পঞ্জাব কিংস।
পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধেও নিয়মিত ক্যাপ্টেন অক্ষর প্যাটেলকে পায়নি দিল্লি ক্যাপিটালস। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন ডুপ্লেসি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারালেও শেষ দিকে মার্কাস স্টইনিসের ক্যামিও ইনিংসে দিল্লিকে ২০৭ রানের বিশাল টার্গেট দেয় পঞ্জাব কিংস। বোলিং আক্রমণের উপর আস্থা ছিল শ্রেয়স আইয়ারের। কিন্তু তা আর হল না। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিল্লি ব্যাটারদের।
দিল্লি শিবিরে মূল সমস্যা ছিল ওপেনিং কম্বিনেশন। বারবার তা বদল হয়েছে। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে তুলনামূলক ভালো পারফরম্যান্স। এরপরই অবশ্য খেই হারায়। ৫৫-০ থেকে দ্রুতই ৯৩-৩ হয়ে যায়। আট বছর পর টেস্ট টিমে প্রত্যাবর্তন করা করুণ নায়ার ২৭ বলে ৪৪ রান করেন। দিল্লির জয় তবুও অনেক দূরে। কিন্তু সমীর রিজভি মরসুমের শেষ ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখলেন। ২৫ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন। আইপিএল কেরিয়ারে প্রথম হাফসেঞ্চুরিতে ৩ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এই ম্যাচে আইপিএল অভিষেক হল আফগান তরুণ সিদ্দিকুল্লা অটলের। ১৬ বলে ২২ রান করেন। পরবর্তীতে সুযোগ পেলে আইপিএলের মঞ্চে আরও এক আফগান ক্রিকেটারের দাপট দেখা যেতে পারে।