নিজস্ব প্রতিবেদন, মন্তেশ্বর: পারিবারিক অশান্তির জেরে দাদা-বউদিকে মারধরের অভিযোগ উঠল এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে রবিবার সকালে মন্তেশ্বর থানার কুসুমগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সিংহালি গ্রামে।
ঘটনার সূত্রপাত বাড়ির নিকাশিনালা থেকে জল যাওয়া নিয়ে। জানা গিয়েছে, মন্তেশ্বর থানায় কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ার তরুণ হাজরা তাঁর বাড়িতে জল নিকাশি নিয়ে এদিন তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। নিজের বাবা সুশান্ত হাজরার ঘাড় ধরে টানতে টানতে নিকাশি নালার কাছে নিয়ে যান বলে দাবি। অভিযোগ, দেওরের এমন রূপ দেখে সুশান্তবাবুর বড় বউমা শ্রীমতি হাজরা প্রতিবাদ করলে, তাঁর ওপর চড়াও হন ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার। বড় বউমা এবং বড় ছেলে মৃণাল হাজরাকে বটির বাট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
তাই দেখে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে তরুণ হাজরা প্রাণভয়ে দৌড়ে থানায় গিয়ে আশ্রয় নেন বলে দাবি। মন্তেশ্বর থানার এক পুলিশ আধিকারিক তাঁকে গ্রেপ্তার করে রবিবার কালনা আদালতে পেশ করলে, বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে আহত শ্রীমতি হাজরাকে ও মৃণাল হাজরাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মন্তেশ্বর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।