পাহাড় ঘেরা চিলকা দেখতে রম্ভা ও বরকুল, একলা ভ্রমণ

ছবি ও লেখা: সুস্মিতা মণ্ডল

 

ভ্রমণ। মানে কি? কোনও সুন্দর জায়গা, প্রকৃতিকে দু চোখ ভরে দেখা, অনুভব করা একটা নতুন জায়গাকে, সেখানকার মানুষজনকে। তাই  তো!

সেই ভ্রমণের সঙ্গী হতে পারে প্রিয় মানুষটি। সঙ্গী হতে পারে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-পরিজন।কিন্তু ভ্রমণ যদি হয় একাকী! তবে কি তা সত্যি উপভোগ্য?

তবে যে আজকাল সোশ্যল সাইট ঘাঁটলেই দেখা যাচ্ছে একাকী নারী-পুরুষ ঘুরে বেড়াচ্ছেন? ভ্রমণ মানে যদি প্রকৃতির সান্নিধ্য হয়, তবে তো তা মনের মানুষ, কাছের ভালো লাগার মানুষগুলোর সান্নিধ্য উপভোগেরও উপায়। তাহলে কেন সোলো ট্রাভেল? কী আছে তাতে? একলা কী এতটাও ভালো লাগা সম্ভব?

হাজারও প্রশ্ন ছিল মনে মনে। একদিন তাই বেরিয়ে পড়লাম রুক স্যাক নিয়ে।ট্রেনের টিকিট কাটা, ঘর বুকিংও সারা। কারণ, একাকী ভ্রমনার্থীর ঘর পাওয়া তো সহজ কথা নয় ভারতের সমস্ত রাজ্যে। পাহাড়ে এ নিয়ে তেমন ছুঁত মার্গ না থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গাতেই একাকী ভ্রমনার্থীকে ঘর দেওয়া হয় না। আর তিনি যদি মহিলা হন তাহলে তো কথাই নেই।

রাতের চেন্নাই মেল। হাওড়া থেকে ট্রেন ছাড়ল নির্দিষ্ট সময়েই। সকাল যখন হল এসি কামরার জানলা দিয়ে বাইরে তাকাতেই দেখি, কখন যেন ছোট ছোট পাহাড় এসে পড়েছে। গরম চায়ে চুমুক দিয়ে ঘুমের আমেজটুকু তাড়িয়ে দিতেই ভালোলাগা এসে ভিড় করল। কংক্রিটের জঙ্গল নয়, ট্রেনের বাইরে তখন সবুজের সমারোহ।

মিনিট ৪০ দেরি করে সকাল প্রায় ৯টা নাগাদ ট্রেন থামল বালুগাঁও স্টেশনে। সোলো ট্রিপে এবার আমার গন্তব্য ওড়িশার গঞ্জাম জেলার রম্ভা।আর পাশেই ক্ষুরদা বা খড়দা জেলার বরকুল। দুই জায়গার মধ্যে একটাই কমন। সেটা হল চিলকা।

 

সেই চিলকা, যেটা ভূগোল বইতে ছোটবেলায় পড়েছিলাম। ইষত্ নোনা জলের সুবিশাল উপহ্রদ বা কোস্টাল লেগুন। ওডিশার তিনটি জেলাজুড়ে তার বিস্তৃতি। সমুদ্রের জল তার বুকে খেলা করে। সেই চিলকা ভ্রমণেরই দুটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র রম্ভা ও বরকুল।

একলা ভ্রমণের প্রথম শর্ত। শুরু থেকেই সজাগ থাকতে হয়। কারণ টাকা থেকে  ব্যাগে থাকা জরুরি জিনিস সমস্ত কিছু আগলে গুছিয়ে রাখতে হবে একলাই। ট্রেনে তো টয়লেট যেতেই হবে। তাই আইডেন্টিটি কার্ড, টিকিট, টাকা-পয়সা, ব্যাঙ্কের কার্ড সব কিছু ছোট  ব্যাগে ভরে কাঁধে ঝুলিয়ে রাখাটাই ভালো। যে ব্যাগ ট্রেনে থাকা বা বাইরে বেরিয়েও কোনও সময় কাছছাড়া করা যাবে না।

প্রথমবার সোলো ট্রাভেলে সেই পন্থাই অবলম্বন করেছিলাম ট্রেনে। সোলো ট্রাভেলের দ্বিতীয় শর্ত, খরচ কমাতে শেয়ারিং অপশন খোঁজা। তবে অবশ্যই নিজের সুরক্ষার দিকটি বজায় রেখে।

বালুগাঁও থেক রম্ভা মোটামুটি ৩০-৩৫ কিলোমিটার। থাকার জায়গা বলতে ওড়িশা গভর্নমেন্টের পান্থনিবাস। সেখানেই অনলাইনে ঘর আগাম বুক করা ছিল। এদিকে বালুগাঁও থেকে রম্ভা যেতে অটো ভাড়া করতে হয়। যার ভাড়া এখন নেওয়া হয় ৬০০-৮০০ টাকা। তবে এক্ষেত্রে সোলো ট্রাভেলের দ্বিতীয় শর্ত অ্যাপ্লাই করে, রম্ভা যাচ্ছেন এমন পরিবারের সঙ্গে ভিড়ে গেলাম। ব্যাস ৭০০ টাকার ভাড়া একধাক্কায় ১৫০ তে নেমে এল।

নতুন শহর, নতুন পথঘাট দেখতে দেখতে অটোয় চললাম রম্ভা। পান্থনিবাসে গিয়ে আইডি কার্ড আর বুকিং আইডি দেখিয়ে যথা সময়ে ঘরে চেকইন-ও হল।

এবার আসি রম্ভার কথায়। পাহাড় ঘেরা চিল্কার পাশের খুব সুন্দর জায়গা। এখান থেকে মোটর বোটে ভেসে যাওয়া যায় চিল্কায়। ঘোরার জন্য আছে ব্রেকফাস্ট আইল্যান্ড, ঘণ্টাশিলা পাহাড় আর বার্ডস আইল্যান্ড। এছাড়াও ছোটখাটো টুকিটাকি পয়েন্ট আছে।

বেড়াতে যখন এসেছি ঘোরাতো হবেই। তবে তার আগে যেখানে যাওয়া হচ্ছে সেখানকার ভালো খাবার-দাবার চেখে না দেখলে হয়? দুপুরের মেনুতে তাই ছিল সমুদ্রের কাঁকড়া আর গরম ভাত।

বোটিং-এর ব্যবস্থা পান্থনিবাসেই হয়ে যায়। সেখানেও অবশ্য সোলো ট্রাভেলের রুল ফলো করলাম। দুটি পরিবারের সঙ্গে বোট শেয়ারিং। ৭ সিটের মোটর বোট। ২টি পয়েন্ট ঘোরাতে নেয় ১৪০০। আর তিনটি পয়েন্ট ঘোরাতে ২১০০। বিকেল বেলা মোটর বোটের ব্যবস্থা করে দুপুরের খাওয়া সেরে ক্যামেরা কাঁধে বেরিয়ে পড়লাম। রম্ভার বোটিং স্পটের উদ্দেশে। জায়গাটা দিব্য সুন্দর। সেখানে বসেই্ ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটানো যায়।

বিকেল বেলা ছুটল মোটর বোট। সূয্যি তখন পাটে যাচ্ছে। হঠাত্ দেখি আমাদের বোটের পিছনে উড়ে আসছে ব্রাউন হেডেড গাল। প্রথমে এক-দুটো। তারপর সঙ্গে থাকা খাবার ছুড়ে দিতেই যেন সেই ‘গাল’ মধ্যে শোরগোল পড়ে গেল। ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসছে সাদা সাদা পাখি। রঙিন ঠোঁট দেখে মনে হচ্ছে, বিধাতা যেন পরম যত্নে লিপস্টিক লাগিয়ে দিয়েছেন। আকাশ তখন আরও একটু লাল। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির দল মোটর বোটর সঙ্গী। বাঁ পাশ দিয়ে, ডান পাশ দিয়ে তারা ডানা মেলে উড়ছে, ঢেউ ওঠা জলে দোল খাচ্ছে। ডিসকভারি চ্যানেল যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে।

দেখতে দেখতে এসে পড়ল ব্রেকফাস্ট আইল্যান্ড। নাম আইল্যান্ড হলেও সেটা হল বিপুল জলরাশির ওপর একটা ছোট ঘর। যার চার পাশে চারটে দরজা। শোনা যায় কোনও বিখ্যাত মানুষ নাকি সেখানে প্রাতরাশ সেরেছিলেন। তাই এমন নাম। তবে এ তথ্যের সত্যতা যাচাই করার সুযোগ হয়নি। বরং অতল জলরাশির বুকে ছোট্ট সে ঘরখানা ভারি মনে ধরেছিল।

তার খুব কাছেই ঘণ্টাশিলা। এটা আসলে পাহাড়। পাহাড়ের ছোট্ট গুহায় মহাদেবের পুজো করা হয়। সেখান থেকে বেশ খানিকটা দূরে আবার একটা পাথুরে, পাহাড়ি ছোট্ট দ্বীপ। দূর থেকে মনে হচ্ছিল সেখানে কোনও মূর্তি আছে। কাছে যেতেই দেখলাম সেখানে একটা ডাইনোসরের মূর্তি। যে আইল্যান্ডের নাম বার্ডস আইল্যান্ড সেখানে কেন ডাইনোসরের মূর্তি তা অবশ্য বোধগম্য হল না। তবে শেষ বিকেলের বিশাল চিল্কার বুকের ভ্রমণটা বাকি জীবনের জন্য মনে রয়ে গেল।

সেখান থেকে ফিরে অচেনা-অজানা মানুষের সঙ্গে খানিক গাল-গল্প করে হোটেল ফিরে চায়ে চুমুক দিলাম। ততক্ষণে অবশ্য একাকী ভ্রমণে আসা আমি হোটেল কর্মীদের অনেকের কাছেই পরিচিত হয়ে উঠেছি।

 

দিনভর ঘোরাঘুরির পর সন্ধেয় খানিক রেস্ট নিয়ে গুছিয়ে ফেললাম ব্যাগ। কারণ, পরের দিন ভোরেই বের হব কৃষ্ণসার মৃগ দেখতে। তার সঙ্গেই ঘুরে নেব নির্মল ঝাড়, খাল্লিকোটের জগন্নাথ মন্দির। তারপর গাড়ি ছেড়ে দিয়ে আসবে বরকুলে।

সোলো ট্রাভেলের আর একটি গুরুত্বপূর্ন শর্ত। প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখা, শরীর বুঝে খাওয়া। বুঝতে হবে অসুস্থ হলে দ্বিতীয় কেউ সাহায্যের জন্য থাকবে না।আর কখন কোথায় বের হতে হবে বুঝে নিয়ে ব্যাগ, নিজের জিনিস গুছিয়ে নেওয়া। কোনওটা পড়ে থাকলেও, কেউ সেটা বলে দেওয়ার থাকবে না।

ডিনার করে শোওয়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ কাজটা সারতে হল। ভোর বেলার অ্যালার্ম দেওয়া। একটা নয় দুটো টাইমে সেট করা। কারণ, প্রথম অ্যালার্ম বাজলে সেটা বন্ধ করে পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়া মানুষের দলেই পড়ি আমি। দ্বিতীয় অ্যালার্ম তাই উঠতে সাহায্য করবে।

ওই যে একটু একটু করে বুঝছিলাম সোলো ট্র্যাভেলের মর্ম। সোলো ট্যাভেল মানে যেমন স্বাধীনতা তেমনই দায়িত্বশীলতা।

 

দ্বিতীয় দিনে বানিয়া চিকিলি-নির্মল ঝাড়-জগন্নাথ মন্দির

ভোরে খানিক ফটো শুট করে চেক আউট করে বেরিয়ে পড়লাম গাড়িতে। গন্তব্য রম্ভা থেকে ১০-১২ কিমি দূরের বানিয়া ও চিকিলি গ্রাম। পাহাড়ি এই দুটি গ্রামের মাঝে একটি জায়গায় হরিণ আসে। দেখা মেলে কৃষ্ণসার মৃগেরও।এই যাত্রায় আমায় নিরাশ হতে হয়নি। গ্রামে পাহাড়ের কোলে একটা চাষজমিতে দেখা পেয়েছিলাম একটি হরিণ পরিবারের। খানিক বাদে সেখানেই এসে পড়েছিল একটি কৃষ্ণসার মৃগ।দিনের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। বুঝলাম একলা ভ্রমণের সার্থকতা কোথায়। আমার উদ্দেশ্য কৃষ্ণসার মৃগ দেখা, তার ছবি তোলা। আমি সেখানে যতক্ষণই থাকি না কেন, কেউ বলবে না দেরি হচ্ছে, চলো।

বুঝলাম কেন সোলো ট্রাভেল। সেখান থেকে গাড়ি ছুটল খাল্লিকোটের নির্মল ঝাড়ের দিকে। পাহাড়ের গায়ে এই মন্দিরটি খুব সুন্দর।এখানে আছে নির্মল ঝাড় বা ঝোড়া। দুটি বাঁধানো কুন্ডে অনবরত জল আসছে। মনে করা হয় নির্মল ঝাড় সংলগ্ন পাহাড়ের ঝোড়া থেকেই সে জল আসে। স্বচ্ছ জলকে পবিত্র বলেই মানেন স্থানীয়রা।রম্ভা এলে অনেকেরই নির্মল ঝাড় আসেন না। তবে আমার মনে হয়েছে এটা ঘুরে দেখার মতোই জায়গা বটে।এর খানিক দূরে রয়েছে জগন্নাথ মন্দির। বহু পুরনো আর বিশাল। সামনেই সবুজ পাহাড়। মন্দিরের পরিবেশ ভারি শান্ত।

মন্দির ঘুরে গাড়ি ছুটল বরকুলে। দ্বিতীয় দিনের বুকিং ছিল বরকুলে OTDC-র পান্থনিবাসে। দ্বিতীয় দিন বরকুলে থাকার কারণ, এই জায়গাটি বালুগাঁও স্টেশন থেকে মাত্র ৬-৭ কিমি দূরে। এদিকে তৃতীয় দিন সকালেই হাওড়া ফেরার ট্রেন। তাই যাতে সহজে এবং কম খরচে স্টেশনে পৌঁছনো যায় তাই। আর বরকুল থেকে নৌকো ভ্রমণে কালীজাই মন্দির দেখার ইচ্ছেও ছিল।

সুতরাং সোলো ট্র্যাভেলের আর এক শর্ত উপযুক্ত পরিকল্পনা। এখানে যেহেতু একাকী ভ্রমণ তাই টাকার বিষয়টা খুব জরুরি। কারণ খরচা একলা আপনাকেই দিতে হবে গাড়ির জন্য।

বরকুল হোক বা রম্ভা কিম্বা ওড়িশার অন্য কোনও জায়গা পান্থনিবাসের জায়গা বেশ ছড়ানো ছেটানো আর লোকেশনও ভালো। রম্ভা ও বরকুল দুই জায়গাতেই পান্থনিবাসের বারান্দা থেকে চিলকার দারুণ ভিউ পাওয়া যায়। সঙ্গে থাকে রুম পিছু দুজনের জন্য কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্টও। রুমের ধরন অনুযায়ী ভাড়া। সব ঘরই এসি এখানেও। তবে একটা বিষয় হল OTDC -র এই দুটি পান্থনিবাসের সবকটার মেনটেনেন্স ভালো নয়। বিশেষত রম্ভার।বিল্ডিং বহু পুরনো। চাঙড় খসে পড়ে কখনও সখনও।

 

কালীজাই টেম্পল- চিলকার বুকে একটি দ্বীপে তৈরি হয়েছে কালীজাই মন্দির। চারদিকটা ভীষণ সুন্দর। চিলকার বুকে ভেসে বেড়ায় সি-গাল। দ্বীপে মন্দিরে কালীজাই মাতার পুজো হয়। কালীজাই আসলে কালী ঠাকুরের রূপ। এ নিয়ে একটি লোককথাও আছে। জাই ছিলেন সদ্য বিবাহিতা মেয়ে। তিনি নৌকো করে বাবার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময় ঝড়ের মুখে পড়ে ডুবে যান। পরে সেখান থেকেই কালীজাই মন্দির, পুজোর চল হয়।

পান্থনিবাসের কাছেই কালীজাই যাওয়ার জন্য মোটর বোটের বুকিং হয়। বিভিন্ন ধরনের বোট আছে। মাথা পিছু খরচ ২০০ টাকা। যেতে ৪০ মিনিট লাগে। মন্দির ঘোরার জন্য ৩০ মিনিট দেওয়া হয়। আবার ওই বোটে ফিরতে ৪০ মিনিট।

আমি অবশ্য ঠিক করে রেখেছিলাম কালীজাই ঘুরতে যাবে যতটা সম্ভব বিকেলের দিকে। জেনেছিলাম বিকেল ৩টে নাগাদ সেখানে সরকারি লাস্ট বোট যায়।তাই আগাম টিকিট কাটতে গিয়েছিলাম। যদিও আমায় বলা হয়েছিল দুপুর ২টোয় আসতে। সেই মতো গিয়ে দেখি, বোটে একটা সিট-ই বাকি। আর আমার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন ওনারা।

তিনটে না হলে দুপুর ২-১৫ নাগাদ বের হতে হলে। তবে চিলকার প্রবল হাওয়া থাকায় রোদের তাপ সহনীয় হয়ে ওঠে। বোট খুব একটা ছোট নয়। তাতে ছাউনিও থাকে।

দেখতে দেখতেই ঘোরা হয়ে গেল রম্ভা আর বরকুল।তৃতীয় দিন ঘরে ফেরা। হাতে যদি সময় থাকে এখান থেকে গোপালপুর, তারাতারিনী মন্দির, টাম্পারা লেক, মহুরি কালী মন্দির সহ আরও অনেক জায়গা ঘুরে নেওয়া যায়। দরকার শুধু উপযুক্ত পরিকল্পনার। সোলো ট্রাভেল শেষে আমার অভিজ্ঞতা বলছে, দুদিনে বোর আমি একদমই হয়নি। বরং নিজের মতো করে খাওয়া থেকে ঘোরা সবটাই উপভোগ করেছি। সেই সঙ্গে খানিক দায়িত্বশীলও হয়েছি। এটাই আমার সোলো ট্রাভেলের প্রাপ্তি। সোলো ট্রাভেল মানে সঙ্গীহীনতা নয়, বরং নিজের পছন্দে নিজের মতো করে ঘোরা।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + 10 =