কেকেআরের দল নির্বাচনে মাথা ঘামান বেঙ্কি মাইশোরও, বিস্ফোরক শ্রেয়স

এতদিন শুধু গুঞ্জন ছিল। কানাঘুষো শোনা যেত, কেকেআর টিমের অন্দরে নাকি সিইও বেঙ্কি মাইশোরই শেষ কথা। এবার সেই গুঞ্জনে কার্যত সিলমোহর দিলেন খোদ নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। তিনি ঘুরিয়ে স্বীকার করে নিলেন শুধু অধিনায়ক এবং কোচ নয়, কেকেআরের দল নির্বাচনে নাক গলান সিইও বেঙ্কি মাইশোরও!

বেঙ্কি মাইশোর, দীর্ঘদিন ধরে কেকেআরের সিইও। শোনা যায় নাইট রাইডার্সের কিছু শেয়ারও কিনেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে দলের যাবতীয় সিদ্ধান্ত তিনিই নেন। নিলাম থেকে শুরু করে কোচ বা মেন্টর নির্বাচন, কেকেআরে বাঙালি ক্রিকেটারদের ব্রাত্য করে থাকা বা ভালমানের দল গড়া না গড়া, সব সিদ্ধান্তই নাকি তিনি নেন। শোনা যায়, নাইট রাইডার্স শিবিরে চরম প্রভাবশালী বেঙ্কি। এবার জানা গেল, বেঙ্কি এতটাই প্রভাবশালী যে দল নির্বাচনেও তিনি নাক গলান।

মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বড় জয়ের পর দলে একের পর এক পরিবর্তন নিয়ে অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারকে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন,”নতুন ব্যাটারদের পক্ষে পরিস্থিতি খুব কঠিন। আমি নিজে যখন খেলা শুরু করেছিলাম, নিজেও এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছি। দল নির্বাচন নিয়ে আমরা কোচের সঙ্গে আলোচনা করি। সিইও দল নির্বাচন নিয়ে মতামত দেন। তবে সত্যি বলতে গেলে সব ক্রিকেটারই আমাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। যেভাবে তাঁরা মাঠে এসে একে অপরকে সাহায্য করে সেটা গর্ব করার মতো।”

নাইট অধিনায়কের এই মন্তব্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সিইও টিম ম্যানেজমেন্টের কেউ নন। ক্রিকেটটা তাঁর খুব একটা বোঝার কথাও নয়, অন্তত ম্যাকালাম বা টিম ম্যানেজমেন্টের অন্যান্য সদস্যদের মতো তো নয়ই। তাহলে তিনি কেন দল নির্বাচনে নাক গলাবেন? ফলে প্লে-অফের আশা নিভু নিভু করে বেঁচে আছে। কিন্তু তা হলে কী হবে, চলতি আইপিএল মরশুমে প্রত্যাশার ধারেকাছেও পারফর্ম করতে পারেনি। তার অন্যতম কারণই হল দলে ঘনঘন বদল আনা। টুর্নামেন্টের শেষ লগ্নে এসেও নাইটরা জানে না তাঁদের সেরা একাদশ কী? অথচ এই টিমটাই মরশুমের প্রথম চার ম্যাচের মধ্যে তিনটি জিতেছিল। তারপর সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেল কেন? অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট নয় তো? উঠছে প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − eleven =