লোকসভা নির্বাচনের আগে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আর্মড ফোর্সেস স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট বা আফস্পা) প্রত্যাহার করার ব্যাপারে বড় ঘোষণা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জম্মু ও কাশ্মীরের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘আমরা জম্মু কাশ্মীর থেকে ‘সশস্ত্র বল অধিনিয়ম’ বা ‘আফস্পা’ হঠানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছি।’
দশকের পর দশক ধরে হিংসাদীর্ণ জম্মু ও কাশ্মীরে লাগু রয়েছে বিতর্কিত আফস্পা আইন। যার জেরে ওই এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে যে কারও বাড়িতে তল্লাশি, গ্রেপ্তার ও প্রয়োজনে গুলি চালানোর অবাধ অনুমতি দেওয়া রয়েছে সেনাকে। তবে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর উপত্যকা থেকে আফস্পা আইন প্রত্যাহারের দাবি তুলেছিল সেখানকার একাধিক সংগঠন।
শাহ জানান, সেপ্টেম্বরের আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি তা পূরণ করবেন। ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও দাবি করেন, গত পাঁচ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরের ছবি পাল্টে গিয়েছে। পাশাপাশি, তিনি মেহবুবা মুফতি এবং ফারুক আবদুল্লাহর শাসনকালের সঙ্গে তুলনা টানেন।
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহ দাবি করেন, ‘জম্মু এবং কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের উপর বিশ্বাস করা হত না। কিন্তু সময় পাল্টেছে। এখন এই পুলিশ বাহিনীই অনেক অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।’ তার পরই শাহ আফস্পা তুলে নেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান।মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭০ শতাংশ এলাকা থেকে আফস্পা তুলে নেওয়া হয়েছে। এ বার জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও একই জিনিস কার্যকর হবে।
স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হয়েছি। আলোচনার মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া সফল করতে চাই আমরা।’