নিজস্ব প্রতিবেদন, নদিয়া: ধর্মের কল বাতাসে নড়ে, নাম না করে সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে আক্রমণ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। একজন বলেছিলেন, কালী মদ খায় আর মাংস খায়। আর একজন বলেছিলেন, শিবের মাথায় কী যেন পড়াতে হবে। এক বছরও গেল না সেই কালী মায়ের কৃপায় সাংসদপদ হারা হয়ে গেলেন একজন।
নদিয়ার নবদ্বীপে একটি নাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নাম না করে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিলাদিদি বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তিনি। নদিয়ার নবদ্বীপ রেলওয়ে রিক্রেশন ক্লাবের ময়দানে সারা ভারত কীর্তন ও বাউল গীতি সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি মহা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুর মঞ্চ ছাড়তেই বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার উপস্থিত হন। তীর্থনগরী নবদ্বীপে তাঁকে করতাল হাতে নিয়ে কীর্তন করতেও দেখা যায়।
এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ধর্মকে যদি আমরা রক্ষা না করতে পারি তা হলে ধর্ম আমাদের রক্ষা করবে না। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ।’ অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের স্বাস্থ্য ভালো নেই। এখানে শিশুর চিকিৎসা হওয়ার কথা সেই বেডে কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এখন নিজের পরিবারের বিয়ের আমন্ত্রণে যেতে ব্যস্ত।’ অন্যদিকে পথশ্রী প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি সবসময় শিলান্যাস করে বেড়াতেন। তাঁর তাই নাম হয়েছিল শীলাদি।’ এদিন বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থ নস্করের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য লোকশিল্পী কীর্তন শিল্পী ছাড়াও অসংখ্য সাধারণ মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন।