কটক: রঞ্জিতে জয়ের হ্যাটট্রিক বাংলার। নক আউটের পথে আগেই পা বাড়িয়ে রেখেছিল। চণ্ডীগড়কে হারিয়ে গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ জিতে নক আউটে বাংলা। বরোদা আর হায়দরাবাদকে আগেই হারিয়েছিল। গ্রুপের শেষ ম্যাচে চণ্ডীগড়কেও উড়িয়ে দিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরনরা। শেষ দিনে বাংলার প্রয়োজন ছিল ৮ উইকেট। চণ্ডীগড়ের ব্যাটাররা অনেকক্ষণ লড়াই চালালেও ঈশান, মুকেশদের সামনে তা আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩ ম্য়াচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলা ক্রিকেট দল। অধিনায়ক মনন ভোরা, অমৃত লাল উপাধ্যায়রা একটা সময় বাংলার বোলারদের চাপে ফেলে দেন। যদিও হারের মতো জায়গায় কখনও পৌঁছায়নি বাংলা দল। উইকেট থেকেও সে রকম সাহায্য পাচ্ছিলেন না বোলাররা। তবু শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে বাংলা শিবিরে ৬ পয়েন্ট এনে দিলেন ঈশানরা।
২৬০ রানে শেষ হয়ে যায় বরোদার দ্বিতীয় ইনিংস। ৩ উইকেট নেন ঈশান পোড়েল। ২টি করে উইকেট নেন নীলকন্ঠ দাস আর মুকেশ কুমার। ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন সায়নশেখর মণ্ডল, শাহবাজ আহমেদ আর অনুষ্টুপ মজুমদার। দলের খেলায় বেশ খুশি বাংলার কোচ অরুণ লাল। আগের ২টো ম্যাচ জিতলেও ব্যাটিং ব্যর্থতা চোখে পড়েছিল। কিন্তু চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স উপহার দেয় বাংলার ক্রিকেটাররা।
কোচ অরুণ লাল বলেন, ‘দলের প্রত্যেকে দুরন্ত পারফর্ম করেছে। প্রত্যেকে নিজেদের সেরাটা তুলে ধরেছে। মাস্ট উইন ম্যাচ না হওয়া সত্ত্বেও দলের ক্রিকেটাররা যে রকম পারফর্ম করেছে তা এককথায় অনবদ্য। আমাদের মধ্যে জেতার অভ্যাস তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।’
বাংলার কোচ এও বলেন, ‘আমি আগে অনেকবারই বলেছি, বোলাররা আমার দলের সম্পদ। এ দিনও শেষ অবধি লড়াই জারি রাখে তারা। কুর্নিশ প্রত্যেককে। এই ম্যাচ থেকে আমরা প্রায় ৩টে শতরান পেয়েছি। ৮ নম্বর ব্যাটার ৯৭ রানে অপরাজিত থেকেছে। ব্যাটিং বিভাগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ করেছে।’
চণ্ডীগড়ের জসকরনদীপ, একে কৌশিক, শ্রেষ্ঠ নির্মোহিরা অনেকক্ষণ সময় কাটান ক্রিজে। একটা সময় মনে হচ্ছিল, বাংলার বোলাররা হয়তো আটকে যাবেন। কিন্তু ঈশান, সায়ন, শাহবাজ, মুকেশরা দেখিয়ে দিলেন তাঁরা শেষ বল পর্যন্ত লড়াই জারি রাখতে জানেন।