কলকাতা: গুজরাট অসম কর্ণাটক বিহার উত্তরাখণ্ডের মত বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলি কে পিছনে ফেলে এই প্রকল্পে এক নম্বর স্থানে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় সরকারের ডাক বিভাগের দেওয়া তথ্য থেকেই একথা সামনে এসেছে। রাজ্যের প্রশাসনিক সূত্রের দাবি আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বর যুক্ত করার ব্যাপারে এ রাজ্যে প্রথম স্থানে থাকার পিছনে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ সমস্ত প্রকল্পেই আধার মোবাইল নম্বর সংযুক্তি বাধ্যতামূলক।
রাজ্যের সিংহ ভাগ মানুষই সরকারি এইসব প্রকল্পের সুযোগ পাচ্ছেন। তাই আধার মোবাইল সংযোগের ক্ষেত্রে গোটা দেশের মধ্যে রেকর্ড নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ডাক বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে আধার মোবাইল সংযোগ এর হার প্রায় ৮৬ শতাংশ।ডাক বিভাগের প্রকাশিত তথ্য বলছে, এই কাজে দেশের মধ্যে সেরা এরাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলা। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা ও তৃতীয় নদীয়া। বলাই বাহুল্য, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক বেশি কাজ হয়েছে এই তিন জেলায়। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ধারে কাছে নেই গুজরাত, রাজস্থান, বিহার, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলি।
‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতেও আধার কার্ডের জন্য পৃথক শিবির খোলা হয়েছিল। এছাড়া ছুটির দিনে বিভিন্ন গ্রামে শিবির চলেছে। বহু মানুষ সেখানে আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করিয়েছেন। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সুবিধার জন্য দলে দলে এসে কার্ড সংশোধন করেছেন মহিলারা। জানা গিয়েছে, ২০২১-’২২ আর্থিক বছরে দেশজুড়ে আধার কার্ড আপডেট ও সংশোধনের টার্গেট ছিল প্রায় ২ কোটি ৯০ লক্ষ। পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ লক্ষ ৯৪ হাজার। সেখানে অর্থবর্ষ শেষে শুধু এরাজ্যেই ১ কোটি ১ লক্ষ ৬৯ হাজার আধার সংশোধন ও আপডেট হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ছত্তিশগড় (১০৭ শতাংশ)। সেখানে বিজেপি শাসিত অসমে মাত্র সাড়ে পাঁচ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ১৬ শতাংশ, গুজরাত ও বিহারে ২৯ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে।