আলফা (স্বা)-এর স্বঘোষিত ‘কমান্ডার’ ধৃত রূপম অসমের প্রদত্ত বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ ও সেনা গোয়েন্দা অভিযানে উদ্ধার অস্ত্র-ভাণ্ডার

তিনসুকিয়া (অসম) : নিষিদ্ধ ‘ইউনাইটেড লিবারেশেন ফ্রন্ট অব অসম-স্বাধীন’ (আলফা-স্বা)-এর স্বঘোষিত ‘অপারেশনাল কমান্ডার’, ধৃত রূপম অসমের প্রদত্ত বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ ও গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে তার একটি অস্ত্র-ভাণ্ডার উদ্ধার করেছেন।

শুক্রবার মধ্যরাতে অসম-অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তবর্তী জাগুনের একটি বনাঞ্চলে আসাম পুলিশ, আসাম রাইফেলস এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর সম্মিলিত বাহিনী অভিযান চালিয়ে শনিবার ভোরের দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম (স্বাধীন)-এর ‘অপারেশনাল কমান্ডার’ রূপম অসমকে গ্রেফতার করেছিল।

আজ রবিবার তিনসুকিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ গৌরব দিলীপ জানান, গতকাল রূপম অসমকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতারের পর রূপম এবং আত্মসমর্পণকারী আলফা-স্বা-এর বিজু অসমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের অস্ত্র-ভাণ্ডারের তথ্য লাভ করেন পুলিশ এবং কলকাতা ভিত্তিক সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা আধিকারিকরা। প্ৰদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোরে অসম-অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তবর্তী নামসাইয়ের কাছে একটি ঘন জঙ্গলে অভিযান চালায় আসাম পুলিশ, ২৩ আসাম রাইফেলস এবং কলকাতা ভিত্তিক মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের দল। যৌথ অভিযানে একটি এমকিউ রাইফেল, তিনটি ম্যাগাজিন এবং ১২০ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার অভিজিৎ গৌরব দিলীপ আরও জানান, গত ২২ মার্চ নামসাইয়ে রূপমের দল থেকে এমকিউ রাইফেলটি নিয়ে পালিয়ে পরে শিবসাগরের পুলিশ সুপারের কাছে আত্মসমর্পণ করে বিজু অসম। তিনি জানান, ‘অসম-অরুণাচল আন্তঃরাজ্য সীমান্তবৰ্তী বিভিন্ন এলাকায় রূপমের নেতৃত্বে চাঁদাবাজির কার্যক্রম চলছিল। আমরা নামসাই, লোহিত এবং চাংলাং জেলা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে তার গতিবিধির ওপর নজর রাখছিলাম।’ পুলিশ সুপার বলেন, ‘রূপম বাহিনীর আরও ক্যাডার এখনও পলাতক। তাদের খুঁজে বের করতে অভিযান চলছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৪ মে বিকালের দিকে তিনসুকিয়া জেলার অন্তর্গত বড়ডুমসা থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি), মাত্র ৩৫ বছর বয়সি ভাস্কর কলিতাকে হত্যার ঘটনায় এনআইএ-এর চার্জশিটে রূপম অসমের নাম ছিল। ওই ঘটনায় তিন সিআরপিএফ-সহ চার পুলিশ জওয়ান আহত হয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + 13 =